উকিল আবদুস সাত্তারকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি

আগের সংবাদ

মন্দা মোকাবিলায় দুই চ্যালেঞ্জ : ডলারের দাম যৌক্তিক জায়গায় রাখা > মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা

পরের সংবাদ

৫ ভুয়া ডিবি সদস্য গ্রেপ্তার : টাকা তুলে বের হলেই টার্গেট করত ওরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আশপাশে ঘোরাফেরা করত কতিপয় ব্যক্তি। ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসা, ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বের হওয়া এবং মানি এক্সচেঞ্জে আসা ব্যক্তিদের টার্গেট করত তারা। টার্গেট করা ব্যক্তির পিছু নিত চক্রের একজন। সুবিধাজনক স্থানে তাকে থামিয়ে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে জোর করে গাড়িতে তুলে নিত। এরপর সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল কেড়ে নিয়ে ফেলে দেয়া হতো নির্জন স্থানে।
দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর ব্যাংকপাড়ায় এভাবে ছিনতাই করে আসছিল একটি চক্র। গত রবিবার রাতে এই চক্রের ৫ জনকে ঢাকেশ্বরী মন্দির এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর এমনটি জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- পীযুষ সুর, মো. হারুন, জোবায়ের হোসেন পারভেজ, আরিফ হোসেন ও খোকন চন্দ্র দেবনাথ। তাদের কাছ থেকে দুটি কালো রংয়ের নোয়াহ মাইক্রোবাস, একটি সাদা রংয়ের প্রোবক্স গাড়ি, দুটি পুলিশের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট ও একটি হ্যান্ডকাফ জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ১৩ ডিসেম্বর রাতে এক ভুক্তভোগী রিকশায় মতিঝিল সিটি সেন্টার পার হয়ে অলিম্পিয়া বেকারির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাস তার গতিরোধ করে। এরপর ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বলে যে তার কাছে অবৈধ মালামাল আছে। একপর্যায়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। তার সঙ্গে থাকা ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা ও মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় তারা। পরে শাপলা চত্বর, ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা, ধলেশ্বরী টোলপ্লাজা কুচিয়ামারা ব্রিজ হয়ে ঢাকা-মাওয়া সড়কে পিডিএল ক্যাম্পের সামনে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি মাওয়ার দিকে চলে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন। পরে থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি মতিঝিল বিভাগও ছায়াতদন্ত শুরু করলে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তিগত সহায়তায় কালো রংয়ের মাইক্রোবাসটি পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়। গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের খোঁজ পাওয়া যায়।
ডিবি জানায়, চক্রটি দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। চক্রের প্রধান শহীদুল ইসলাম মাঝি। তার বিরুদ্ধে সারাদেশে মোট ১৬টি মামলা রয়েছে।
এর আগে শহীদুল ইসলাম মাঝিকে ডিবি পুলিশ একাধিকবার গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। পলাতক শহীদুল ইসলাম মাঝিসহ তার অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়