উকিল আবদুস সাত্তারকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি

আগের সংবাদ

মন্দা মোকাবিলায় দুই চ্যালেঞ্জ : ডলারের দাম যৌক্তিক জায়গায় রাখা > মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা

পরের সংবাদ

মতবিনিময় সভায় বক্তারা : পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় চাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের কারণে দেশে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতিনিয়তই নিচে নামছে। বিশেষ করে রাজধানীসহ বরেন্দ্র এলাকাগুলোয় এই স্তর নামছে আশঙ্কাজনকহারে। নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের অভাবে বাড়ছে পানিবাহিত নানা রোগ। পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ভূউপরিস্থ এবং ভূগর্ভস্থ- উভয় উৎসকেই কাজে লাগাতে হবে। শুধু তাই নয়, পানির পুনঃপরিশোধন এবং পুনঃব্যবহার নিয়ে আরো কাজ করতে হবে। পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত জরুরি বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গতকাল সোমবার ‘ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট : প্রোগ্রেস চ্যালেঞ্জেস এন্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তারা এ মত দেন। বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ, বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রেটি নেটওয়ার্ক (বিএডব্লিউআইএন), ওয়াটার ইন্টিগ্রেটি নেটওয়ার্ক (ডব্লিউআইএন) ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।
বিএইচআরএফের সভাপতি রাশেদ রাব্বির সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রেটি নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান শহীদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন বিএইচআরএফ এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনজিও ফোরাম পাবলিক হেলথের নির্বাহী পরিচালক এস এম এ রশীদ।
বক্তব্য দেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক আনোয়ার জাহিদ, চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, রাজশাহী ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম তুহিনুর আলম, খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. এম এম আখতারুজ্জামান, সিমাভির দেশীয় সমন্বয়ক অলক মজুমদার, বি-স্ক্যানের সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব প্রমুখ।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএডাব্লিউআইএনের সমন্বয়ক কাজী মুনীর মোশারফ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৭ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি এবং সাড়ে ৭ কোটি মানুষ স্যানিটেশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে হবে।
অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ বলেন, ব্যবহারযোগ্য পানির পরিমাণ ক্রমেই কমে আসছে। পানি রিসাইক্লিং করা হচ্ছে না। বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষায় আমাদের কত সংগ্রাম। কিন্তু সেটিও কি রক্ষা করতে পারছি? এসডিজি অর্জন করতে হলে কোনো বিশেষ এলাকাকে নয়, সার্বিকভাবে বিষয়টিকে দেখতে হবে। গুরুত্ব দিতে হবে।
আনোয়ার জাহিদ বলেন, সবার জন্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে হলে আমাদের ভাবতে হয় সবার জন্য পানি আছে কিনা। শতকরা ৯৭ ভাগ লবণ পানি, ৩ ভাগ বরফ, ১ ভাগেরও কম পানি পানযোগ্য। পানির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আর ব্যবহারযোগ্য পানির পরিমাণ কমে আসছে।
এস এম এ রশীদ বলেন, এসডিজি ৬ লক্ষ্যমাত্রায় ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য পানি এবং স্যানিটেশন অর্জনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা, ভূগর্ভস্থ পানির অপরিকল্পিত ব্যবহার এবং এর অপরিকল্পিত উত্তোলন ও ব্যবস্থাপনা ভবিষ্যতকে দিনে দিনে একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়