উকিল আবদুস সাত্তারকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি

আগের সংবাদ

মন্দা মোকাবিলায় দুই চ্যালেঞ্জ : ডলারের দাম যৌক্তিক জায়গায় রাখা > মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা

পরের সংবাদ

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ : গত ডিসেম্বরে দুটি হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গত বছর ডিসেম্বরে বিএনপি দুটি হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি হচ্ছে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার গোঁ ধরা। আরেকটি হচ্ছে দলীয় সংসদ সদস্যদের বাধ্য করে পদত্যাগ করানো। এই দুটি সিদ্ধান্তেই তাদের ক্ষতি হয়েছে। এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত কেন নেয়া হলো- সেই প্রশ্নই এখন বিএনপিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। খন্দকার মোশাররফ সাহেবরা সেই হঠকারী সিদ্ধান্তের জবাব দিতে পারেন না, সে জন্য কর্মীদের কাছে উঁচু গলায় কথা বলে তাদের শুধুই আশ্বস্ত করতে চান, অন্য কোনো কিছু নয়।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র, সোশ্যাল ও নিউ মিডিয়া) ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, ইউনুস রুবেল, শরফুদ্দীন এলাহী, সহিদুর রহমান, তাপস দাশ গুপ্ত, ঈশা খান, স¤্রাট শাহ ও ফারুক আহমেদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশিদের পদলেহন, ধরনা দেয়া, আর দেশবিরোধী সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি ও তার মিত্ররাই বেকায়দায় পড়ে গেছে। তারা ভেবেছিল ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করে একটি বিশৃঙ্খলা করতে পারবে। কিন্তু সেটি পারেনি। তারা বুঝতে পেরেছে তাদের শক্তি-সামর্থ্য কতটুকু। এরপরও বিএনপি চেষ্টা করবে, এ বছরো দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। তবে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে সর্বোচ্চ অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা দেখেছি। সেগুলো মোকাবিলা করা হয়েছে। সুতরাং তারা কি করতে চায়, কি করতে পারে- আমাদের ধারণা আছে। সেটি মোকাবিলার ও পরিকল্পনা আমাদের আছে।
আবেদন পেলে বছরে ১০টি হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানি : এর আগে সিনেমা হল মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র অঙ্গণের সবার আবেদন পেলে বছরে ১০টি ভারতীয় হিন্দি সিনেমা আমদানি ও প্রদর্শন সম্ভব। যদি চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি ও প্রযোজক সমিতি লিখিত আবেদন দেয় তাহলে আমরা বিষয়টা নিয়ে উদ্যোগ নেব।
ড. হাছান বলেন, যে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা জাতির পিতার নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল, সেই চলচ্চিত্রের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। অন্যতম বড় পদক্ষেপ হচ্ছে ১ হাজার কোটি টাকার স্বল্প সুদে ঋণ তহবিল। সেটির জন্য ৫০ এর অধিক দরখাস্ত পড়েছে। আমরা আশা করছি সেগুলো তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি হবে।
বিএনপির মতো ভুল ইসলামী আন্দোলন করেনি : এর আগে সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের জাতীয় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এ সময় তিনি বলেন, বিএনপিকে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিলেও তারা পল্টনের রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশের জন্য গোঁ ধরে থেকে শেষ পর্যন্ত গোলাপবাগে গেছে। ইসলামী আন্দোলনও বায়তুল মুকাররমের সামনে সমাবেশ করতে চাইতে পারত। নামাজের সুবিধা হতো কিন্তু রাস্তা বন্ধ হয়ে জনগণের ভোগান্তি হতো। তারা সেটা করেননি, বিএনপির মতো ভুল করেননি। এজন্য তাদের ধন্যবাদ।
সম্মেলনের সভাপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) ও রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে তথ্যমন্ত্রী হাছান দেশে ইসলামের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপগুলোকে যুগান্তকারী হিসেবে বর্ণনা করেন।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি
ষ শেষের পাতার পর
প্রয়োজনীয় টাকার জোগান বাড়ানো সম্ভব হয়। তবে চলতি অর্থবছরে সরকারি ও বেসরকারি খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা আগেই অতিক্রম হয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে বার্ষিক ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ তাংশ।
এর বিপরীতে গত অক্টোবর পর্যন্ত বেসরকারি ঋণে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। অন্যদিকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ। এর বিপরীতে অক্টোবর পর্যন্ত বেড়েছে ৩২ দশমিক ১১ শতাংশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়