বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই

আগের সংবাদ

দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত : উত্তররাঞ্চলের কয়েক জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ > জনজীবন বিপর্যস্ত > বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাই

পরের সংবাদ

সওজের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : গজারিয়ায় সড়ক ও জনপথের (সওজ) কোটি কোটি টাকার জায়গা দখল করে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছে দখলদাররা। সেসব দোকান ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে আদায় করছে লাখ লাখ টাকা। এভাবে দখলবাজি চললেও মোটা অঙ্কের মাসোহারার বিনিময়ে সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চুপ রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া পাখির মোড় থেকে জামালদী পর্যন্ত উপজেলা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার অংশে সওজ ও জনপথ বিভাগের বিপুল সম্পত্তি রয়েছে। ভবিষ্যতে সড়ক আরো প্রসারিত করার কথা চিন্তা করে সওজ কর্তৃপক্ষ এ সম্পদ রাখলেও দপ্তরটির কিছু কর্মকর্তা এসব সম্পদ রক্ষার বদলে উল্টো কিছু দখলবাজের সঙ্গে আঁতাত করে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। সরজমিন মহাসড়কে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অংশে বাউশিয়া পাখির মোড়, দরি বাউশিয়া, ভবেরচর, আনারপুরা, ভাটেরচর, বালুয়াকান্দি ও জামালদী এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভূমি নিয়ে রীতিমতো হরিলুট চলছে। উল্লেখিত এলাকাগুলোতে সড়কের পাশজুড়ে এবং খাল ভরাট করে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান, হোটেল-রেস্তোরাঁ, কমিউনিটি সেন্টার, ইট-বালুসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন দখলবাজরা। কেউ কেউ আবার দখলকৃত জায়গা ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করছে।
দরি বাউশিয়া এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে দখলবাজরা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে লিজের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে বসেছেন। এতে অধিকাংশ খাল ভরাট করার কারণে পয়ঃনিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
তারা আরো বলেন, সরকারি জায়গা রক্ষার দায়িত্ব যাদের, তারাই যদি উদাসীন হন তাহলে রক্ষা করবে কে?
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালাব। অতীতেও দখলবাজদের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তবে দখলদারদের থেকে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়