বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই

আগের সংবাদ

দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত : উত্তররাঞ্চলের কয়েক জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ > জনজীবন বিপর্যস্ত > বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাই

পরের সংবাদ

এখনো অপ্রস্তুত মেলা প্রাঙ্গণ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নতুন বছরের প্রথমদিন গতকাল রবিবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার পর্দা উঠেছে। রাজধানীর উপকণ্ঠ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টরে ২য় বারের মতো বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেলার উদ্বোধন করেন। এ বছর মেলা থেকে ২০০ কোটি টাকার বেশি স্পট অর্ডারের আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। প্রথমদিনই মেলায় ক্রেতা দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ত?বে এখনো প্রস্তুত হয়?নি মেলার বে?শির ভাগ স্টল ও প্যাভিলিয়ন। চল?ছে নির্মাণ আর গোছানোর কাজ। তবে এবার যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় মেলা বেশ জমে উঠবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এবারের বাণিজ্যমেলায় দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স এন্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্সস,

পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর, ফার্নিচার ইত্যাদি পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরে ও বাইরের আঙিনায় বাঁশ, কাঠ, হার্ডবোর্ড দিয়ে বানানো হয়েছে অস্থায়ী স্টল। স্টিল, ইট ও কংক্রিট দিয়ে বহুতল প্যাভিলিয়নের গাঁথুনির কাজও শেষ পর্যায়ে। দিন-রাত এক করে কাজ করছেন নির্মাণ শ্রমিকরা। কারুকাজ করে তৈরি করা হয়েছে স্টল। সেগুলোতে রকমারি রঙের ছোঁয়া।
রবিবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ মেলা শেরেবাংলা নগরে হয়। কোভিড মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলা হয়নি। এরপর ২০২২ সালে কোভিডের বিধিনিষেধের মধ্যেই পূর্বাচলে প্রদর্শনীর স্থায়ী কাঠামোতে প্রথমবার মেলা বসে।
উদ্বোধনের পর ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য মেলা খুলে দেয়া হয়। মেলায় দেখা গেছে, প্রথমদিনই বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই দর্শনার্থীদের আনাগোনা বাড়?তে থাকে মেলা প্রাঙ্গণে। যেসব স্টল-প্যাভিলিয়ন প্রস্তুত হয়েছে সেখানেই দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়। তবে মেলায় অংশ নেয়া অনেক প্রতিষ্ঠানের স্টল ও প্যাভিলিয়ন এখনো প্রস্তুত হয়নি। স্টলের নির্মাণকাজ চলছে। আবার অনেক স্টলে পণ্য গোছা?নোর কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে সংশ্লিষ্টদের। তাই মেলা পুরোপু?রি জ?মে উঠ?তে আরো কয়েক?দিন সময় লাগ?বে বলে জানিয়েছেন সং?শ্লিষ্টরা। অসমাপ্ত একটি স্টলে কর্মরত নির্মাণ শ্রমিক জয়নালের সঙ্গে কথা হল। তিনি জানালেন, এখনো কিছুটা কাজ বাকি রয়েছে। পু?রোপু?রি প্রস্তুত হতে আ?রো কয়েকদিন সময় লাগবে।
এর আগে গত শনিবার বাণিজ্যমেলা উপলক্ষে মেলার এক্সিবিশন সেন্টারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, এবার ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপালসহ ১২টি দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। এসব দেশের প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টলের সংখ্যা ১৭টি। প্রদর্শনী কেন্দ্রের ভেতরে হল ‘এ’তে ৮৪টি এবং হল ‘বি’তে ৯০টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রদর্শনী হলের সামনে ও পেছনে প্যাভিলিয়ন ৫৭টি। পেছনের মাঠে রেস্টুরেন্ট ২৩টি। এছাড়া হলের সামনে ও পেছনে স্টল ৬০টি। নিরাপত্তা অগ্রাধিকার বিবেচনায় মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, প্রবেশ গেট, পার্কিং এরিয়া এবং সংশ্লিষ্ট সব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। এবার বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরাও দায়িত্ব পালন করবেন। নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।
দর্শনার্থীদের জন্য তথ্যকেন্দ্র এবং ব্যাংকিং সেবা দিতে মেলায় থাকছে জনতা, ট্রাস্ট ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। পাশাপাশি একাধিক ব্যাংক বুথ স্থাপন করেছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি স্থাপন করা হয়েছে দুটি মা ও শিশু কেন্দ্র।
বাণিজ্যমেলায় যাতায়াত : মেলায় যাতায়াতের জন্য বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় যাতায়াতের জন্য আমরা বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছি। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আমাদের বাস সার্ভিস চালু হবে। যাত্রীর যত চাহিদা থাকবে, আমরা বাসের সংখ্যা তত বাড়াব। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য দেয়া হয়েছে বিআরটিসির ৭০টি বিশেষ বাস। সেই বাসে করেই যেতে পারবেন এবারের মেলায়। চাইলে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও যাওয়া যাবে। পার্কিংয়ের ঝামেলায় পড়তে হবে না। কারণ যথেষ্ট জায়গা আছে পার্কিংয়ের জন্য। মেলায় প্রায় এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে। এই বাস সার্ভিস রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত থাকবে। শুক্রবারগুলোতে ১৫০টি বাস পরিচালনার চিন্তা আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়