রাজধানীর বাজারদর : সবজিতে স্বস্তি মাছ-ডিমের দাম অপরিবর্তিত

আগের সংবাদ

বই সংকটে উৎসবে ছন্দপতন : শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হয় একটি-দুটি অথবা গতবছরের বই > ফেব্রুয়ারির আগে সব শিক্ষার্থী বই পাবে না

পরের সংবাদ

সেচ প্রকল্পের মালামাল চুরি : চকরিয়ায় দুই হাজার একর জমিতে চাষাবাদ অনিশ্চিত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : জেলার বৃহৎ ঘুনিয়া সেচ প্রকল্পের মালামাল চুরি হওয়ায় প্রায় দুই হাজার একর জমিতে চাষাবাদে অশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। গত ২৮ ডিসেম্বর বুধবার গভীর রাতে অফিস কক্ষের দরজার তালা ভেঙে তিনটি পাম্প, তিনটি ফুটবাল্ব, চারটি সিলিং ফ্যান ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। এতে অন্তত দশ হাজার কৃষকের মাঝে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে।
চুরি হওয়ার ঘটনায় ফাঁসিয়াখালী কুমারীছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লি. এর সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন ও কৃষকরা জানান, বিগত ২০১১ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রাজারবিল এলাকায় এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় সেচ প্রকল্পটি। অনাবাদি কৃষি জমি ধান ও সবজি চাষের আওতায় আনতে দেশের দুটি স্থানে দুটি স্কিম চালু করেছিল বর্তমান সরকার।
এর মধ্যে কুমিলায় ১টি ও কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১টি। সেচ প্রকল্পটির অবস্থান ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রাজারবিল এলাকায়। সেচ প্রকল্পটি ‘ঘুনিয়া সেচ প্রকল্প’ হিসেবে পরিচিত।
ঘুনিয়া সেচ প্রকল্পের অধীনে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের অন্তত দুই হাজার একর জমিতে চাষাবাদ করা হয়। প্রকল্পের আশাপাশ এলাকার ৫টি গ্রামের দেড় হাজার একর জমিতে ধান ও আরও পাঁচশ একওে তকালীন সবজি ও রকমারি ফসলের চাষাবাদ করে আসছিলো। ফাঁসিয়াখালী কুমারীছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লি. এর তত্ত্বাবধানে ঘুনিয়া সেচ প্রকল্পটি পরিচালিত হয়ে আসছিল।
প্রকল্পের আওতাধীন কয়েকজন কৃষক জানান, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়া, রাজারবিল, পুকপুকুরিয়া ও উচিতারবিল এলাকায় প্রায় দুই হাজার একর অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনতে তৎকালীন চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর জোর প্রচেষ্টায় ঘুনিয়া সেচপ্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছিল।
এরপর থেকে এ অঞ্চলের অনাবাদি কৃষি জমি চাষের আওতায় চলে আসে। বদলে যায় কৃষকের ভাগ্য। এভাবে ১১ বছর ধরে ঘুনিয়া সেচ প্রকল্পটি কৃষি জমিতে পানি দিয়ে আসছিল।
ধানী ও সবজি চাষ কমিয়ে এখন অনেকে তামাক চাষের দিকে ঝুকছেন বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক কৃষক। তারা আরো জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ধান ও সবজি চাষে নিরুৎসাহী করছেন। অতিরিক্ত মুনাফার আশায় কৃষকরাও তামাক চাষ করছেন।
ফাঁসিয়াখালী কুমারীছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি মি. এর সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে ফাঁসিয়াখালী কুমারীছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লি: এর অফিসের দরজার তালা ভেঙে তিনটি ২০ ঘোড়া পাম্প, তিনটি ফুটবাল্ব, চারটি সিলিং ফ্যান ও বিদ্যুতের সরঞ্জামসহ প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। অফিসের মূল্যবান মালামাল চুরি হওয়ায় দশ হাজার কৃষক পরিবারে মাঝে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এসব মালামাল চুরি হওয়ার কারণে দুই হাজার কুষি জমিতে চাষাবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। চুরির ঘটনায় চকরিয়া থানায় একটি লিখিত দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, ফাশিয়াখালীতে সেচ প্রকল্পের অফিসের মালামাল চুরি হওয়ার অভিযোগ এখনো পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়