ঢাবিতে পর্দা নামল নন-ফিকশন বইমেলার

আগের সংবাদ

কালো মানিকের জন্য শোকার্ত বিশ্ব

পরের সংবাদ

উজবেকিস্তানের অভিযোগ : ভারতে বানানো সিরাপ খেয়ে ১৮ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : গাম্বিয়ার পর এবার উজবেকিস্তানের কর্তৃপক্ষও ভারতে বানানো সিরাপে বেশ কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতের ওষুধনির্মাতা কোম্পানি মেরিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডের বানানো সিরাপ খেয়ে তাদের দেশে অন্তত ১৮টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
কোম্পানির ওয়েবসাইটে ডক-১ ম্যাক্স সিরাপটি ঠাণ্ডা ও জ্বরের লক্ষণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় বলে বলা হয়েছিল; অথচ এই সিরাপ খাওয়া ২১ শিশুর মধ্যে ১৮ শিশুই তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগে মারা গেছে, বলেছে তারা। মন্ত্রণালয়টির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কুয়ারাম্যাক্স মেডিকেল এলএলসি নামের একটি কোম্পানি উজবেকিস্তানে এই সিরাপ আমদানি করেছে। ওষুধটির একটি ব্যাচে ইথিলিন গøাইকল পাওয়া গেছে, দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যাকে বিষাক্ত উপকরণ বলছে।
মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া, বাবা-মা নিজেরাই কিংবা ফার্মেসির দোকানের লোকজনের পরামর্শে, বাড়িতেই শিশুদের সিরাপটি খাওয়ানো হয়েছিল। তাদের জন্য নির্ধারিত যে ডোজ, তারা তার চেয়ে বেশি পরিমাণে ওই ওষুধ গিলেছিল বলেও ভাষ্য উজবেক কর্তৃপক্ষের।
বিষাক্ত উপকরণসমৃদ্ধ ব্যাচটির ওষুধ খেয়ে, স্বাভাবিক ডোজের চেয়ে বেশি খাওয়ায়, নাকি উভয় কারণে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে মেরিয়ন বায়োটেক, কুয়ারাম্যাক্স মেডিকেল ও ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ভারতের সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছে।
ওষুধের মান নিশ্চিতে ভারত মঙ্গলবার দেশটির বেশ কিছু ওষুধ নির্মাণ কারখানা পরিদর্শনও শুরু করেছে। উজবেকিস্তানের আগে গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায়ও ভারতে বানানো সিরাপের নাম উঠে এসেছিল।
দিল্লিভিত্তিক মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের বানানো ঠাণ্ডা ও কাশির সিরাপে অন্তত ৭০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে আফ্রিকার দেশটি। যদিও ভারতের সরকার ও মেইডেন উভয়েই পরে গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যুতে তাদের ওষুধের দোষ অস্বীকার করেছে।
উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া এবং শিশুমৃত্যুর ঘটনা সময়মতো খতিয়ে না দেখাজনিত অবহেলার কারণে তারা তাদের ৭ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে।
কিছু ‘বিশেষজ্ঞের’ বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তবে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ওই ‘বিশেষজ্ঞদের’ ভূমিকা কী ছিল, তা খোলাসা করেনি তারা।
মধ্য এশিয়ার দেশটি এরই মধ্যে সব ওষুধের দোকান থেকে ডক-১ ম্যাক্স ট্যাবলেট ও সিরাপ সরিয়েও নিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়