প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
এম. রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে : রাউজানে প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং জলমহাল ইজারা ছাড়াই লুটপাটে লিপ্ত এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
সরজমিন দেখা গেছে, কর্ণফুলী নদী, হালদা নদী, সর্তা খাল, ডাবুয়া খালসহ নদী-ছড়া-খাল-বিল ও কৃষিজমিতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
সর্তা খালে হলদিয়া হচ্চার ঘাট, নোয়াজিষপুর মিলন মাস্টারের ঘাট, চিকদাইর, পশ্চিম গহিরা, কাসখালি খালের ডাবুয়া মেলুয়া রাবার বাগান এলাকায় ও বাগোয়ান ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে কর্ণফুলী নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হয়। এছাড়া রাউজানের অর্ধশত সরকারি দিঘি ও পুকুর-জলাশয়ে সরকারি ইজারা ছাড়াই চলছে মাছের চাষাবাদ। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের নীরবতায় ইজারাবহির্ভূত এসব জায়গা থেকে অবাধে বালু উত্তোলন ও সরকারি দিঘি-পুকুর চাষ করে লুটপুাট করছে প্রভাবশালীরা। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয়তা দেখতে চায় স্থানীয় লোকজন।
জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন হালদা নদীর মা-মাছসহ জৈববৈচিত্র্য রক্ষায় নদী থেকে বালুমহাল ইজারা বন্ধ করে দিলেও বিভিন্ন স্থানে নৌযানে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালীরা। এতে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর মা-মাছসহ জৈববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।
উপজেলার নোয়াজিষপুর ঈশা খাঁ দিঘি, হলদিয়া বৃক্ষবানপুর দিঘি, কদলপুর লঙ্কর উজির দিঘি, পাহাড়তলীতে মহামুনি দিঘি, পশ্চিম গুজরায় মগদাই জলপাইন্যা দিঘি, পূর্ব গুজরায় মহাজন দিঘি, উপজেলা সদরের নলপুকুর, উপজেলা জামে মসজিদ পুকুরসহ সরকারি দিঘি, পুকুর-জলাশয়গুলো একসময়ে ইজারা দেয়া হতো।
ইজারা বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা হতো কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত আট-দশ বছর ধরে সরকারি মালিকানাধীন দিঘি ও জলাশয় ইজারা দেয়া হয়নি। ইজারা না নিয়ে সরকারি দিঘি ও পুকুরের মধ্যে মাছ চাষ করে লুটেপুটে খাচ্ছে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এতে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সামাদ শিকদার ভোরের কাগজকে বলেন, আমি রাউজানে আসার আগে থেকেই সরকারি দিঘি, পুকুর-জলাশয় ও বালুর মহাল কয়েক বছর ধরে ইজারা দেয়া হয়নি।
শুধু কর্ণফুলী নদী রাউজান অংশের নোয়াপাড়ায় একটি বালুর মহাল ইজারা দেয়া হয়েছে। আর কোনো বালুমহালের ইজারা নেই।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।