ছাত্রলীগের মিছিলে হামলা : বিএনপির ৫ নেতাকর্মী জেলে

আগের সংবাদ

আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব : সামনে নির্বাচনসহ ৪ চ্যালেঞ্জ > অগ্রাধিকার পেয়েছেন নির্বাচন পরিচালনায় অভিজ্ঞরা > জাতীয় নির্বাচনের পর বিশেষ সম্মেলন

পরের সংবাদ

প্রিন্সের অভিযোগ : বেছে বেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বেছে বেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার পর বেছে বেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে নেতাকর্মীদের। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, তেল-গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে ইতিপূর্বে ১৫ জন নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। আজ (গতকাল) দেশের সকল জেলা ও মহানগরে (ঢাকা ও রংপুর ব্যতীত) বিএনপির পূর্ব ঘোষিত শান্তিপূর্ণ গণমিছিল কর্মসূচিতে এলোপাতাড়ি মারধর ও গুলি করে হত্যা করেছে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিনকে। স্থানীয় ওসির নির্দেশে পুলিশ বিএনপির মিছিলে গুলি করে হত্যা করে ও বেধড়ক লাঠিপেটা করে। পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবুসহ আরো অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে জনগণ অনুমান করেছিল বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সশস্ত্র হামলা করা হবে। জনগণের অনুমানই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। পঞ্চগড়সহ অন্যান্য স্থানে হামলা, হত্যা, নির্যাতন পূর্বপরিকল্পিত। দেশকে বিরোধী দলশূন্য করতে সরকারের নীলনকশার অংশ হিসেবেই পঞ্চগড়ে আব্দুর রশিদ আরেফিনকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার দায় সম্পূর্ণ সরকারের।
প্রিন্স বলেন, পরিকল্পিতভাবে বিএনপির সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে সরকার। সারাদেশে কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের গুলি, টিয়ারশেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের আহত করেছে বলে অভিযোগ করেন প্রিন্স। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় গণমিছিল চলাকালে অন্তত ৬০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাহাক সরকার, বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়