ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই : হাসপাতালে ভর্তি পঞ্চাশের কম রোগী

আগের সংবাদ

যে কারণে কাতার বিশ্বকাপ সফল

পরের সংবাদ

নতুন জঙ্গি সংগঠনে অর্থায়ন করেছেন জামায়াত আমির : দলটির অন্যদের বিষয়েও প্রমাণ মিলেছে > ১০ ডিসেম্বরের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম পুলিশ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান নতুন জঙ্গি সংগঠনটিকে সমর্থন করাসহ অর্থায়ন করেছেন তার প্রমাণ পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তার জ্ঞাতসারেই ছেলে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে হিজরতে যায়। এছাড়া এ দলটির অন্যদের বিষয়েও বেশ কিছু তথ্য মিলেছে যা ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট তদন্ত করে দেখছে।
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে গতকাল শনিবার দুপুরে বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
ডিএমপিপ্রধান বলেন, বর্তমান জামায়াতে ইসলামীর আমিরের ছেলে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় যোগ দেন। জেনেশুনে বিষয়টি সমর্থন ও তাকে অর্থায়ন করেন বাবা জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। তার অর্থ সাহায্যেই ছেলে অন্যদের সংগঠিত করছিল। এই অর্থায়নের কারণে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তার সমর্থনেই ছেলে ডাক্তার রাফাত নতুন ওই জঙ্গি সংগঠনে জড়ান। এমনকি তার প্রত্যক্ষ মদদে বেশ কয়েকজন সংগঠনটিতে প্রশিক্ষণও নেয়।
নতুন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জামায়াতের অন্য কোনো নেতার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আরো বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি, আমাদের অভিযান চলছে। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে এখনই সেসব তথ্য প্রকাশ করছি না। অভিযান সফল হওয়ার পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাব। তবে আমি বলতে চাই, একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা বিভিন্ন সময় ভিন্ন ফরমেটে জঙ্গিবাদ বিস্তারের চেষ্টা করেছে। তারা দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদকে কখনো সমর্থন করেনি, ভবিষষ্যতেও করবে না। অতীতেও আমরা কঠোর হস্তে জঙ্গিবাদ দমন করেছি, ভবিষ্যতেও করব। বিজয়ের মাসেও বলতে চাই, এই দেশে কোনোভাবে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিতে পারবে না।
আদালত থেকে পলাতক দুই জঙ্গির গ্রেপ্তারের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের নজরদারিতে শুধু পলাতক দুজনই না, জঙ্গি ছিনতাইয়ে যারা জড়িত তারাও আছে। তাদের অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করতে পারবো।
দুই জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আমরা পাচ্ছি। ঘটনার সময় যেসব পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে ছিল, সেখানে যাদের গাফিলতি ছিল। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ও ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশসহ অন্যদের করণীয় বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা গত কয়েক বছর অনেক চেষ্টা করেছে দেশকে অস্থিতিশীল করতে,

কিন্তু পারেনি। আবার তারা নতুন খেলায় মেতেছে। নতুন খেলায় তাদের সফল হতে দেব না। ঢাকা শহরে দুই কোটি লোকের বসবাস। সেই লোকের বিঘœ সৃষ্টি করবেন, আর পুলিশ তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে? গত ১০ ডিসেম্বর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পার করেছি। ভবিষ্যতেও এমন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ সক্ষম রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়