ঢাকা মহানগর আ.লীগ : দক্ষিণে সমাবেশ উত্তরে বিক্ষোভ আজ

আগের সংবাদ

১০ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন : ঢাকার গণসমাবেশ থেকে বিএনপির ঘোষণা > ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী গণমিছিলের কর্মসূচি

পরের সংবাদ

‘আমার ইচ্ছা ১০০ স্ক্রিন তৈরি করা’

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এ দেশের সিনেমার দর্শকরা যখন রুপালি পর্দা থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে বোকা বাক্সে থিতু হয়ে বসেছে, ঠিক সেই সময় বিরুদ্ধ স্রোতের এক যাত্রী দেখালেন ভিন্ন স্বপ্ন। সিনেমা হল না, মানুষ সিনেমা দেখবে মাল্টিপ্লেক্সে। যার শুরুটা ২০০৪ সালে। বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল স্টার সিনেপ্লেক্স। বর্তমানে ঢাকায় ৫টি শাখায় রয়েছে ১৫টি স্ক্রিন। আর এবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে চকবাজারের বালি অর্কিড শপিং মলে যাত্রা শুরু হলো ষষ্ঠ শাখা। তিনটি স্ক্রিনে এখানে আসন সংখ্যা চারশ। এটি নিয়ে চট্টগ্রামের সিনেমাপ্রেমীরা যেমন উচ্ছ¡সিত, তেমনি উচ্ছ¡সিত প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল। নতুন শাখা ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হলো মেলার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার : মেলা প্রতিবেদক

মেইড ফর চিটাগং
চট্টগ্রামে প্রচুর সিনেমাপ্রেমী দর্শক রয়েছেন, যারা স্টার সিনেপ্লেক্সের মতো একটি মাল্টিপ্লেক্স প্রত্যাশা করেন। চট্টগ্রাম আমার শহর। অনেকেই আমাকে তাদের চাওয়ার কথা বলেছেন। বলা চলে, চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এটি। এ দাবি পূরণের কাজটি আরো আগেই করতে চেয়েছিলাম। নানা কারণে হয়ে ওঠেনি। এবার কাজটি করতে পেরেছি বলে আমি আনন্দিত। নান্দনিক পরিবেশ, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত সাউন্ড সিস্টেম, জায়ান্ট স্ক্রিনসহ বিশ্বমানের সিনেমা হলের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নির্মিত হয়েছে হলগুলো। 

চাই নতুন ছবি
যত সমস্যা থাকুক আমাদের বিনোদন দরকার। এদেশের মানুষের ডিএনএর মধ্যে একসঙ্গে সিনেমা দেখা, আনন্দ করার অভ্যাস আছে, এটা সব সময় থাকবে। সময়কে উপভোগ করার জন্য সিনেমা দেখা ব্যয়বহুল কিনা সে চিন্তা করে না। ‘পরান’ ও ‘হাওয়া’র মতো সিনেমা হয়েছে। মানুষ হলে বসে দেখেছে। আশা করি আরো ভালো সিনেমা হবে। মানুষ ভালো উপভোগ করতে পারবে। কিন্তু সামনের দিনগুলোতে? হলিউডের পাইপলাইনে ভালো কিছু ছবি থাকলেও বাংলাদেশে পাইপলাইনে ভালো কোনো সিনেমা নেই। কিন্তু দেশে ভালো সিনেমা নির্মাণ না হলে বেশি স্ক্রিন বানিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। সে কারণে আমরা নিজেদের প্রোডাকশনের জন্য তাড়াহুড়ো করছি। ভালো পরিবেশ ও সিনেমা আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি তাই আমার বিশ্বাস, ভালো সিনেমা দিতে পারলে দর্শক হলে আসবেন।

ওটিটি না রুপালি পর্দা
টেকনোলজির কারণে সবার হাতে হাতে মোবাইল। ঘরে বসেই তারা সবকিছু দেখতে পাচ্ছে। এতে করে পরিবার নিয়ে সিনেমা দেখার রীতিটা অনেকটা হারিয়ে যাচ্ছে। মোবাইলের ছবি দেখে প্রকৃত অর্থে সেই মজাটা পাওয়া যায় না। সামাজিকভাবে আনন্দ করার ঐতিহ্যটাও মলিন হয়ে যাচ্ছে। আমি চাই, সবাই সুন্দর পরিবেশে হলে এসে সিনেমা উপভোগ করুক। তবে দেশের অনেক পরিচালকে দেখছি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য ছবি করছেন। তাদের কাছে আমার অনুরোধ সিনেমা হলের জন্য ছবি বানালে পুরো ইন্ডাস্ট্রিটা বাঁচবে। আপনারা সিনেমা হলের জন্য ছবি বানান। তারপরে ওটিটিতে দেন।

আঁধার কাটিয়ে আলো
২০২২ সালটা আমাদের সিনেমার ব্যবসা ভালো গেছে। কিন্তু আগামীতে কী আসছে আমি জানি না। ২০২৩ সাল হয়তো আমাদের জন্য কঠিন সময় যেতে পারে। সারা বিশ্বেই হতে পারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। মানুষকে আশা দেয়ার জন্য হলেও বিনোদনটা রাখা উচিত। আমরা একটা ভালো সময় ফিরব। তবে এর থেকেও খারাপ সময় আমরা কাটিয়েছি। আমাদের বড় ধাক্কাটা ছিল মহামারির (কোভিড-১৯) সময়। ওই সময় প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করে দিতে হবে ভেবেছিলাম। লস দিয়ে হলেও ধরে রেখেছিলাম সে সময়। বসুন্ধরাটা প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। তারপরও আমি ধরে রেখেছি। বিশ্বাস ছিল যে মানুষ ফিরে আসবে, হলে ছবি দেখবে। এটা সত্য প্রমাণিত হয়েছে।

আরো মাল্টিপ্লেক্স
দেশে একের পর এক সিনেমা হল বন্ধের খবরে যে হতাশা তৈরি হচ্ছে তার বিপরীতে স্টার সিনেপ্লেক্স যে উদ্যোগ নিচ্ছে তাতে করে নতুন আশার সঞ্চার হচ্ছে। ধীরে ধীরে সিনেপ্লেক্সের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। শুধু ব্যবসার জন্য ব্যবসা তা মনে করি না। পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকে। এখন আমাদের সিনেপ্লেক্সের মোট স্ক্রিন ১৮টি। শুরু থেকেই আমার ইচ্ছা ১০০ স্ক্রিন তৈরি করা। ঢাকার বাইরে খুলনা, বগুড়া এবং রাজশাহীতে নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। এরপর কুমিল্লা, ফেনী, মিরসরাই, কক্সবাজারে সিনেপ্লেক্স চালু হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়