প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল ১৪ ডিসেম্বর

আগের সংবাদ

১৭২ দেশে শ্রমবাজার : রেমিট্যান্স কমছে যে কারণে

পরের সংবাদ

১৬৪তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনায় বক্তারা : সার্বজনীন মানবকল্যাণই ছিল জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞানদর্শন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলার বিজ্ঞানীদের অগ্রদূত জগদীশ চন্দ্র বসু। তিনিই বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আমরাও বিজ্ঞানী হতে পারি। তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন, গাছেরও প্রাণ আছে। মার্কনির আগেই বেতার যন্ত্র তৈরি করেছিলেন জগদীশ বসু। তার সেই যন্ত্রের কথা জানতেন ইউরোপের বিজ্ঞানীরাও। জগদীশ বসুকে তারা প্রশংসাও করেছেন এজন্য। বাংলা ভাষার প্রথম সায়েন্স ফিকশন ‘পলাতক তুফান’-এর লেখক জগদীশচন্দ্র বসু। বিজ্ঞানীর আড়ালে তিনি ছিলেন একজন বিপ্লবীও। ব্রিটিশ সরকার মনে করত, ভারতীয়দের তুলনায় ইউরোপিয়ানদের মর্যাদা অনেক বেশি। তাই ইউরোপীয় শিক্ষকদের যে বেতন দেয়া হত, বসুকে দেয়া হলো তার তিন ভাগের এক ভাগ। এই অন্যায় জগদীশ বসু মানতে পারেননি। তাই বেতন না নিয়েই শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার বাংলার এই অসামান্য বিজ্ঞানীর ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত আলাচনা সভায় উঠে আসে এসব প্রসঙ্গ।
অনুষ্ঠানে ‘জগদীশচন্দ্র বসু : মিথ, সত্য এবং প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক আলোচনা করেন শিক্ষক, লেখক এবং বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মী সফিক ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সচিব ও

ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এ এইচ এম লোকমান। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. মো. হাসান কবীর।
অনুষ্ঠানের মুল বক্তা সফিক ইসলাম বলেন, জগদীশচন্দ্র বসুর পূর্ণাঙ্গ পরিচয় আমরা এখনো নির্মাণ করতে পারিনি। উদ্ভিদের প্রাণ এবং রেডিও আবিষ্কার সংক্রান্ত মিথে আমরা ঘুরপাক খাই। আধুনিক বিজ্ঞানবিশ্বে তিনি রেডিও জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত। একই সঙ্গে জৈব পদার্থবিজ্ঞান নামে বিজ্ঞানের নতুন শাখায় তার অভিনিবেশ এক অনন্য ঘটনা। তিনি বস্তু ও উদ্ভিদের সঙ্গে মানুষের এতকালের প্রভেদ দূর করে বিজ্ঞানে প্রগতিশীল ধারার সঞ্চার করেন। অধিবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা ও প্রাণিবিদ্যায় তার আবিষ্কার ও পর্যবেক্ষণ মৌলিক এবং যুগান্তসঞ্চারী।
তিনি আরো বলেন, জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞানকে জিম্মি করে ব্যবসায়িক প্রবণতার বিরুদ্ধে সারাজীবন লড়াই করেছেন। তার বিজ্ঞানদর্শন ছিল সার্বজনীন মানবকল্যাণ সাধন।
এ এইচ এম লোকমান বলেন, জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্রগঠনের পথে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। তিনি বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃৎপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। মানবকল্যাণে বিজ্ঞানের ব্যবহারের পথ প্রদর্শন করে তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
মো. হাসান কবীর বলেন, জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞানবিশ্বের এক বিস্ময় মানব। তার উদ্ভাবন বিশ্ব বিজ্ঞান আন্দোলনে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। তার মতো মনীষীর অবদান কখনো বিস্মৃত হওয়ার নয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়