প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল ১৪ ডিসেম্বর

আগের সংবাদ

১৭২ দেশে শ্রমবাজার : রেমিট্যান্স কমছে যে কারণে

পরের সংবাদ

শিশু আয়াত হত্যা : গ্রেপ্তার আবীরের মা-বাবা-বোন ৩ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : নগরীতে ৫ বছরের শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে হত্যার পর ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার আবিরের বাবা-মা ও ছোট বোনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালত তিনজনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তবে বোন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তারের পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে তিনজনকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- আবীরের বাবা আজাহারুল ইসলাম, মা মোছাম্মৎ আলো বেগম এবং তার ১৫ বছর বয়সি ছোট বোন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) মনোজ কুমার দে জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত আবীর আলীর মা-বাবাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আবীরের বাবা ও মাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলিউল্লাহ। অন্যদিকে আবীরের বোনকে তিন দিন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখে সমাজসেবা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক। মনোজ কুমার দে বলেন, রিমান্ডে আবীরকে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য পেয়েছি। এরপর আমাদের সন্দেহ, আবীরের বাবা-মা, বোনের কাছেও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরো তথ্য থাকতে পারে। তদন্তের স্বার্থে আমরা সবকিছু খোলাখুলিভাবে বলতে পারছি না। যেসব তথ্য আবীরের কাছ থেকে পাওয়া গেছে সেগুলো তার বাবা, মা ও বোনের সঙ্গে ক্রসচেক করা হবে। এর আগে গত সোমবার নগরের ইপিজেড এলাকা থেকে আবীর আলীর মা-বাবা ও এক বোনকে আটক করা হয়। পরে শিশু আয়াত হত্যা মামলায় তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের গ্রেপ্তার দেখায়।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর পাঁচ বছরের শিশু আয়াত নিখোঁজ হওয়ার পর ইপিজেড থানায় জিডি করে তার পরিবার। শিশুটির সন্ধান চেয়ে পোস্টার ও প্রচারপত্রও বিলি করা হয়। তার দাদা পিবিআইর কাছে আবেদন করেন নাতনির সন্ধান চেয়ে। পরে পিবিআই তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৯ বছরের আবীরকে আটক করে। আয়াত ইপিজেড থানার নয়ারহাট ওয়াছমুন্সী বাড়ি এলাকার সোহেল রানার মেয়ে। তাদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ভাড়া থাকে আবীরের পরিবার। পিবিআই জানায়, ১৪ নভেম্বর বিকালে আরবি পড়তে স্থানীয় মসজিদের উদ্দেশে বের হয় আয়াত। বাসার গলিতেই আবীর তাকে কোলে নিয়েছিল, যা স্থানীয় শিশুরা দেখেছিল। আশপাশের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ভিডিও বিশ্লেষণ করে এবং স্থানীয় শিশুদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেশী আবীরকে আটক করা হয়। পিবিআই জানায়, মুক্তিপণের জন্যই আয়াতকে অপহরণ করে খুন করেছে তাদের ভাড়াটের ছেলে আবীর আলী। পরে ওইদিন রাতে আয়াতের বাবা নগরীর ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে লোমহর্ষক বর্ণনা দেন আবীর। তার জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে শিশুটিকে ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে সে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়