প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল ১৪ ডিসেম্বর

আগের সংবাদ

১৭২ দেশে শ্রমবাজার : রেমিট্যান্স কমছে যে কারণে

পরের সংবাদ

বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি : ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ না হলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বেসিক ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাতে করা ৫৬টি মামলার তদন্ত ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ব্যর্থ হলে দুদকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হাইকোর্টের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়। বেসিক ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলীর জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়া রায়ে এসব কথা উল্লেখ করেন আদালত। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার পর্যবেক্ষণসহ এই রায় দেন।
রায়ে আদালত বলেন, তদন্ত সঠিক না হলে পৃথিবীর অনেক দেশে তদন্ত কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। দুদককে সঠিকভাবে তার তদন্ত কাজ শেষ করতে হবে। ২০১৫ সালে এই মামলাগুলো করা হয়। কিন্তু তদন্ত কাজ আজো শেষ করতে পারেনি দুদক। এ দীর্ঘ সময়ের কারণে মামলার আলামত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আত্মসাতের টাকা হচ্ছে, জনগণের টাকা। জনগণের কষ্টের টাকা। এই টাকা দেশ ও জনগণের কল্যাণ ছাড়া অন্য জায়গায় যেতে পারে না। এটা রক্ষা করা ব্যাংকের দায়িত্ব। সেখানে ব্যাংক ব্যবস্থাপকের ব্যর্থতাকে আমরা হালকাভাবে নিচ্ছি না। ১২০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন এই সময়ে প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশে ঋণ খেলাপিরা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হতে পারে না। সাধারণ নাগরিকরা যেসব সুবিধা পায়, সেগুলোও তারা পায় না বলে রায়ে পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়।
এসময় আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আবুল হোসেন ও মো. জোবায়দুর রহমান। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলী।
আমিন উদ্দিন মানিক পরে সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বেসিক ব্যাংকের মামলাগুলোর তদন্ত ঝুলে আছে। আদালত বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়ে তদন্ত শেষ করতে না পারলে নিজেরাই যেন দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। তখন অন্য কেউ তদন্ত করবে। সেই সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৩ মাসের মধ্যে যথাযথ আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রতিবেদন দাখিলের পর উচ্চ আদালতে হলফনামাও দিতে হবে। বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে প্রায় ২ হাজার ৭৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে। এর মধ্যে কেবল ১১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়