মৃত্যুবার্ষিকী আজ : সাবেক মেয়র হানিফ স্মরণে নানা কর্মসূচি

আগের সংবাদ

সমাবেশ ঘিরে দুপক্ষের হুঙ্কার : বিএনপি নেতাদের বক্তৃতায় প্রচ্ছন্ন হুমকি > ছাড় না দেয়ার ঘোষণা আওয়ামী লীগ নেতাদের

পরের সংবাদ

দল হারায় বেলজিয়ামে দাঙ্গা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : কাতারে জমে ওঠেছে ফুটবল বিশ্বকাপ। গোটা বিশ্ব এখন ফুটবল উত্তেজনায় ডুবে আছে। প্রিয় দল জিতবে এমন প্রত্যাশাই করেন ভক্তরা। তবে হেরে গেলে অনেক সময় মেজাজ হারায় সমর্থকরা। এমনটাই হয়েছে মরক্কো ও বেলজিয়ামের ম্যাচ শেষে। তবে কাতারে কোনো ঝামেলা হয়নি। মরক্কোর বিপক্ষে ২-০ গোলে বেলজিয়ামের হারের পর দেশটির রাজধানী ব্রাসেলসে ফুটবল সমর্থকরা দাঙ্গা-হাঙ্গামা করেছে। কয়েকজন ভক্ত দোকানের জানালা ভেঙে ফেলে, সেই সঙ্গে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও জননিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবস্থা নিতে হয় পুলিশকে।
দাঙ্গাবাজদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শতাধিক পুলিশ মাঠে নামে। শহরের প্রাণকেন্দ্র পরিহার করে চলতে বলা হয় বাসিন্দাদের। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া রোধে মেট্রো স্টেশন ও রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়।
এদিকে নেদারল্যান্ডস, আমস্টারডাম ও হেগ শহরেও ফুটবল ঘিরে বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া গেছে। তবে বেলজিয়ামের হারে দেশটির ফুটবল ভক্তদের মধ্য সহিংসতা ছড়ালেও মরক্কোর পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেখানকার লোকজন রাস্তায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে জয় উদ?যাপন করছে। যাইহোক শক্তি-সামর্থ্যে অনেক পিছিয়ে থাকা মরক্কোর বিপক্ষে হার মানতে পারেননি বেলজিয়াম সমর্থকরা। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বরে বেলজিয়াম, ২২ নম্বরের মরক্কো। যার ফলে শেষ ষোলোয় যাওয়ার পথে বড় ধাক্কা খায় রবের্তো মার্তিনেসের দল।
শক্তি-সামর্থ্যে ও র‌্যাঙ্কিংয়ে ভালো স্থানে থাকা দলের হার মেনে নিতে পারেননি ভক্তরা।
ব্রাসেলসের দাঙ্গার বিষয় বিভিন্ন বিদেশি গনমাধ্যমে বলা হয়েছে, মরক্কোর বিপক্ষে হারের পর ক্ষুব্ধ লোকজন ব্রাসেলসে গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেন। ইট ছুড়ে বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করেন।
দাঙ্গার বিষয় ব্রাসেলস পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই হুডি মাথায় দেয়া ডজনখানেক সমর্থক পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধায়। জননিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবস্থা নিতে হয় পুলিশকে। কিছু ভক্ত লাঠি নিয়ে ভাঙচুর চালায়। আতশবাজি মুখে লেগে আহত হন এক সাংবাদিক। শতাধিক পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নামে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া রোধে মেট্রো স্টেশন ও রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়। একটি হেলিকপ্টারও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আকাশে উড়তে থাকে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে কিছুটা শান্তি ফেরে শহরে।
এছাড়া ব্রাসেলসের মেয়র ফিলিপ ক্লোজ বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। ব্রাসেলসের সিটি সেন্টার থেকে লোকজনকে দূরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছি। সেই সঙ্গে এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। পুলিশ ইতোমধ্যেই কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। আমি ভক্তদের শহরের কেন্দ্রে না আসতে বলছি। পুলিশ সর্বজনীন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়