কাগজ প্রতিবেদক : দৈনিক রোগী ও মৃতের সংখ্যা উঠানামার মধ্য দিয়েই ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। একদিন কমলেও পরদিনই বাড়ছে মোট রোগী ও প্রাণহানির সংখ্যা। গতকাল রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫২৩ জন ডেঙ্গুরোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গুজ¦রে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরো ৩ জনের।
আগের দিন শনিবার দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৪৬২ জন ডেঙ্গুরোগী। মৃতের সংখ্যা ছিল ২ জন। শুক্রবার রোগীর সংখ্যা ছিল ২২১ জন ও মৃতের সংখ্যা ছিল ১ জন। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৫১৯ ও ১ জন। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গুতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ৩ নভেম্বর। মৃতের সংখ্যা ছিল ৯ জন। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দৈনিক সর্বোচ্চ রোগী ছিল ২ নভেম্বর। ওই দিন ১ হাজার ৯৪ জন ডেঙ্গুরোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ৫২৩ জন রোগীর মধ্যে ২৭৭ জন ঢাকার এবং ২৪৬ জন ঢাকার বাইরের। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১ হাজার ১২৯ জন এবং ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮০০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর (১ জানুয়ারি থেকে ২৭ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৬ হাজার ১৩০ জন। এই জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৪৭ জন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৩ হাজার ৯৫৪ জন। মাসভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী- জানুয়ারিতে ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২০ জন, মার্চে ২০ জন, এপ্রিলে ২৩ জন, মে মাসে ১৬৩ জন এবং জুন মাসে ৭৩৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন আর মৃত্যু হয়েছিল ১ জনের। জুলাই মাসে রোগী ছিলো ১ হাজার ৫৭১ জন আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯ জন। আগস্টে রোগী ছিল ৩ হাজার ৫২১ আর ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে রোগী ছিল ৯ হাজার ৯১১ জন, মৃত্যু হয় ৩৪ জনের। অক্টোবর মাসে রোগীর সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৯৩২ জন আর ৮৬ জনের মৃত্যু হয়। নভেম্বরের ২৭ তারিখ (সকাল ৮ টা পর্যন্ত) রোগীর সংখ্যা ১৮ হাজার ১০৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১০৬ জনের।