ইকুয়েডর রুখে দিল ডাচদের

আগের সংবাদ

১০ দফা দাবিতে নৌশ্রমিক ধর্মঘট : সারাদেশে পণ্য পরিবহন বন্ধ

পরের সংবাদ

সিলেট বিমানবন্দর বাইপাস সড়কের কাজ শুরু

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিলেট ব্যুরো : অবশেষে শুরু হলো সিলেট বিমানবন্দর বাইপাস সড়কের চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ। গতকাল শনিবার বিকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রাস্তাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রায় ৭২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ‘কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন পায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সিলেটের রাস্তাঘাটের উন্নয়নে ৭শ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে সিলেট শহর সম্পূর্ণ বদলে যাবে। মন্ত্রী আরো বলেন, প্রায় সাড়ে ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ সড়কটি চার লেনে উন্নীত হলে পাথরবোঝাই ট্রাকগুলো সেই সড়ক দিয়ে জাতীয় মহাসড়কে সহজেই পৌঁছাতে পারবে। এতে সিলেট নগরীর যানজট কমবে এবং কমে আসবে দুর্ঘটনা। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার গঠনের পরপরই তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সিলেট শহরের যানজট নিরসনে এই রাস্তাটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এরপর ২০১২ সালে সিলেটের কুমারগাঁও-বাদাঘাট হয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হয়। তবে অদৃশ্য কারণে তা আর শেষ হয়নি। এরপর ২০১৬ সালে ফের এই রাস্তাটি নির্মাণের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠায় সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তখন দুই লেনের রাস্তা নির্মাণের প্রস্তাব ছিল। পরের বছর চার লেন সড়কের পাশাপাশি দুটি সার্ভিস লেন যুক্ত করে তৈরি করা হয় সংশোধিত প্রস্তাবনা। ২০১৯ সালের দিকে শুধুমাত্র চার লেনের প্রস্তাবনা জমা পড়ে মন্ত্রণালয়ে। পরবর্তীতে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল সড়কটি পরিদর্শন করে এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেট কর্তৃক তৈরিকৃত প্রস্তাবিত চার লেনের নকশায় ত্রæটি থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত সংশোধিত নকশা তৈরির নির্দেশ দেন।
এরপর ২০২১ সালের আগস্ট মাসে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে আসা সুপারিশগুলো প্রতিপালন করার পর গত বছরের শেষ দিকে পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটি একনেকের বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করে। সেই অনুযায়ী চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদন পায়।
প্রসঙ্গত, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর বহনকারী ট্রাকগুলোর সিলেট শহরের মধ্য দিয়ে যাতায়াতের কারণে নগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলোতে তীব্র যাজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। কুমারগাঁও-বাদাঘাট-বিমানবন্দর সড়কটিকে চার লেনে উন্নীত করা হলে পাথরবোঝাই ট্রাকগুলো সেই সড়ক দিয়ে সোজা ঢাকা সিলেট মহাসড়কে উঠে যাবে, এতে সিলেট নগরীর মধ্যে যানজট কমার পাশাপাশি কমে আসবে দুর্ঘটনার হারও। এছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ওসমানী বিমানবন্দরে যাতায়াতকারীরাও উপকৃত হবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়