কাগজ প্রতিবেদক : প্রত্যকটি বহুতল ভবনে কার্যকর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকার ওপর জোর দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি ও জীবন বাঁচাতে বড় আকারের পূর্ব প্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই। আমরা যদি নির্বাপণের প্রস্তুতি না নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকি দিন শেষে ক্ষয়ক্ষতি আমাদেরই হবে। আগুনে পুড়ে মানুষের মৃত্যুর মিছিল দেখতে হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ও ইলেকট্রনিক্স সেফটি এন্ড সিকিউরিটি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইস্সাব)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে অগ্নিনিরাপত্তায় চ্যালেঞ্জসমূহ শিরোনামে এই গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ডিএনসিসি মেয়র সব ভবনের পাশাপাশি যে কোনো অনুষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের সময় করণীয় নির্দেশনা, ফায়ার সেফটির সম্পর্কে শিক্ষাসহ সিনেমা হলগুলোতে সিনেমা শুরুর আগে এবং বিরতির সময় ফায়ার সেফটি বিষয়ক জনসচেতনামূলক তথ্য চিত্র প্রদর্শনের বিষয়ে জোর দেন। গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান আলোচক ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
মেয়র বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত গার্মেন্টস শিল্পে কর্মীদের অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত কঠোরভাবে মানা হয়। যে নিরাপত্তা কমপ্লায়েন্স গার্মেন্টস শিল্প মানতে পারবে সেটা সিটি করপোরেশন এলাকার বহুতল ভবনগুলো মানতে পারবে না? সবার জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের সবাইকে তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলেই হবে না। নির্বাপণ ব্যবস্থা কতটুকু কার্যকর তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
এ সময় মেয়র আতিক বহুতল ভবনগুলোর চাকচিক্যের পাশাপাশি বিল্ডিং কোড, ফায়ার সেফটিসহ অন্যান্য নিরাপত্তার বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে বলেন, রাস্তা ২০ ফিটের কম প্রশস্ত হলে দুর্ঘটনা পরবর্তী কার্যক্রম চালানো ব্যাহত হবে। কোনো ধরনের উদ্ধার সরঞ্জাম বা গাড়ি ওই এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। তাই রাস্তা ২০ ফিটের কম প্রশস্ত হলে সিটি করপোরেশন সেখানে উন্নয়নের জন্য কোনো বরাদ্দ দেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।