কাগজ ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোকে অগ্রাধিকার দেবেন এবং সেইসঙ্গে ছোট মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার প্রথম কার্যালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন আনোয়ার। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে শপথ নেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকালে প্রথম দিনের কাজ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেছেন। সেখানেই তিনি জানান, তার নজর এখন মূলত জীবনযাত্রা ব্যয় সমস্যার সমাধানের দিকে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেতন নেবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আনোয়ার বলেন, প্রাথমিক উদ্বেগের বিষয়টি হচ্ছে অর্থনীতি। সেদিকটি বিবেচনায় আগের সব প্রশাসনের চেয়ে এবারের মন্ত্রিসভার আকার ছোট রাখা হবে। জনগণের জীবযাত্রা ব্যয় বাড়তে থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনোয়ার কোনো বেতন নেবেন না বলেও জানিয়েছেন।
মালয়েশিয়ার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশে ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়েরও অঙ্গীকার করেছেন আনোয়ার।
আনোয়ার ইব্রাহিম এখনো মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেননি। এর আগে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তার মন্ত্রিসভায় দুইজন উপপ্রধানমন্ত্রী থাকবেন। তারা হলেন একজন সাবেক ক্ষমতাসীন জোট বারিসান থেকে এবং অন্যজন মালয়েশিয়ান বোর্নিওর ছোট রাজনৈতিক ব্লকগুলো থেকে।
বৃহস্পতিবার আনোয়ার জানিয়েছিলেন, বারিসান এবং মালয়েশিয়ান বোর্নিওর দলগুলোর জোট তার সরকারকে সমর্থন দেয়ার অঙ্গীকার করেছে।
শুক্রবার আনোয়ার জানান, আরেকটি বোর্নিও ব্লকও তার সঙ্গে যোগ দেয়ায় তিনি ২২২ আসনের পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সমর্থন পেয়ে গেছেন।
এই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে আনোয়ারের সরকার সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা পাবে। ২০০৮ সালের পর থেকে মালয়েশিয়ায় পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষে কোনো সরকারের এ ধরনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না।
মালয়েশিয়ায় গত শনিবার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কোনো দল বা জোট সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত নজিরবিহীন ঝুলন্ত পার্লামেন্টে তৈরি হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।