ইকুয়েডর রুখে দিল ডাচদের

আগের সংবাদ

১০ দফা দাবিতে নৌশ্রমিক ধর্মঘট : সারাদেশে পণ্য পরিবহন বন্ধ

পরের সংবাদ

ঈশ্বরদীতে ঋণের মামলায় ১২ কৃষক কারাগারে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে ঋণের মামলায় ১২ কৃষককে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 
গত শুক্রবার বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তার আগে বৃহস্পতিবার তাদের ঈশ্বরদীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে আটক করা হয়। 
বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক নামের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ওই কৃষকরা। তাদের মধ্যে একাধিক কৃষক ঋণের টাকা পরিশোধ করেছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারি গ্রামের শুকুর প্রামাণিকের ছেলে আলম প্রামাণিক, মনি মণ্ডলের ছেলে মাহাতাব মণ্ডল, মৃত সোবহান মণ্ডলের ছেলে আবদুল গণি মণ্ডল, কামাল প্রামাণিকের ছেলে শামীম হোসেন, মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে সামাদ প্রামাণিক, মৃত সামির উদ্দিনের ছেলে নূর বক্স, রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আকরাম, লালু খাঁর ছেলে মোহাম্মদ রজব আলী, মৃত কোরবান আলীর ছেলে কিতাব আলী, হারেজ মিয়ার ছেলে হান্নান মিয়া, মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ মজনু ও মৃত আখের উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক থেকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে ঋণ নিয়েছিলেন ৩৭ জন কৃষক। এই ঋণ ফেরত না দেয়ার অভিযোগে ২০২১ সালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ওয়ারেন্টের মূলে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ২০২১ সালে ওই ৩৭ কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে আদালত গত বুধবার তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। 
সমবায় ব্যাংক পাবনা শাখার চেয়ারম্যান সাবির হাসান বাচ্চু বলেন, মামলাটি ঢাকা অফিস থেকে করা। এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য আমার এই মুহূর্তে জানা নেই। আপনারা সেন্ট্রালে খোঁজ নিতে পারেন।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া একাধিক কৃষকের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, ৫ বছর আগেই তারা ঋণের টাকা পরিশোধ করে দিয়েছেন। এর পরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা হওয়ার কথাও তারা জানতেন না।
আতিয়ার রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে জাননো হয়েছে, ২০১৬ সালে ৪০ হাজার টাকা ঋণ ২০১৭ সালে সুদাসলে ৪৪ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
রজব আলীর পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, ২০১৬ সালে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিলেও ২০১৭ সালে ৩৩ হাজার ৭৬৭ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। টাকা পরিশোধের রশিদ রয়েছে দাবি করে তিনি সমবায় ব্যংকের একটি রশিদ দেখান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়