মোজাম্মেল-প্রণয় সাক্ষাৎ : কলকাতার থিয়েটার রোডের সেই বাড়িটি চেয়েছে বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

কাদের সঙ্গে ডায়লগ করব? মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

পরের সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দে ৩৩ বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ : টুঙ্গিপাড়া

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি : আগে স্কুলে আসতাম আর ক্লাস করে বাড়ি চলে যেতাম। মাঠ না থাকায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলতেও পারতাম না। এখন আমাদের খেলার মাঠ হওয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে মোরগ লড়াই, ফুটবল, গোল্লাছুট, কানামাছি খেলতে পারি। তাই স্কুলে এসে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।
কথাগুলো বলছিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নবুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী হৃদয় মন্ডল। শুধু হৃদয়ই না, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলার পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় আনন্দিত উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের ৩৩টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গোপালপুর ইউনিয়নের রাখিলাবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র আকাশ মন্ডল বলে, আগে আমাদের বিদ্যালয়ে কোনো মাঠই ছিল না। এর ফলে আমরা খেলাধুলা করতে পারতাম না। এখন মাঠ তৈরি হওয়ায় আমরা বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করতে পারছি। এতে আমরা খুবই আনন্দিত।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার অনেক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ ছিল না। আর যেসব বিদ্যালয়ে মাঠ ছিল সেগুলোও ছিল খেলাধুলার অনুপযোগী। খেলাধুলার মাঠ ও পরিবেশ না থাকায় শারীরিক ও মানসিক বিকাশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল উপজেলার কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। কিন্তু শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলার ২০টি প্রাথমিক ও ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ তৈরি ও স¤প্রসারণ করা হয়। ৩ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ে এসব মাঠ বালু দিয়ে ভরাট ও স¤প্রসারণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। বালু ভরাটের পরে উপরে মাটি দিয়ে খেলাধুলার উপযোগী করে তোলা হয়েছে।
গোপালপুর রাখিলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিদাস বিশ্বাস বলেন, বিদ্যালয়টি নিচু জায়গায় হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ে পানি উঠে যেত। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মাঠ না থাকায় খেলাধুলা করতে পারত না। এ অবস্থায় পাঠদান করা গেলেও শিক্ষার্থীদের শারীরিক বিকাশ ঘটত না। মাঠ তৈরির পর এখন শিক্ষার্থীরা খেলাধুলাও করতে পারছে। এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটবে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে টুঙ্গিপাড়া এসে জানতে পারেন অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার কোনো পরিবেশ নেই। তখন তিনি দ্রুত মাঠ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার উপযোগী করে তুলতে নির্দেশ দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের টাকা দিয়ে ৩৩টি বিদ্যালয়ের মাঠ তৈরি ও স¤প্রসারণের কাজ শুরু হয়। খেলাধুলার মাঠ পেয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ব্যাপক আনন্দিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শারীরিক বিকাশ নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ তৈরি ও স¤প্রসারণ করা হয়েছে। এতে দৈনন্দিন পাঠক্রমের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলার মাঠ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়