কাগজ প্রতিবেদক : করোনা মহামারিতে গত দুবছরে বড় অংকের ক্ষতি গুনতে হয়েছে দেশের বেসরকারি এভিয়েশন খাতকে। এ সময়ে দফায় দফায় বেড়েছে জেট ফুয়েলের দাম। এয়ারক্রাফটের যন্ত্রাংশ আমদানিতে উচ্চ করসহ বিশ্বের এভিয়েশন খাত যখন কঠিন পরিস্থিতির মুখে, এমন সময়ে দেশের আকাশে ডানা মেলার মধ্য দিয়ে এক দুঃসাহসী যাত্রা শুরু করল বেসরকারি এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান এয়ার অ্যাস্ট্রা।
গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে দেশের আকাশে ডানা মেলার মধ্য দিয়ে নতুন এয়ারলাইন্সটি তাদের বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরু করেছে। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গতকাল সকাল ৮টায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফটে উড়াল দেন ক্যাপ্টেন খালিদ সাইফুল্লাহ। এয়ার অ্যাস্ট্রার হেড অব গ্রাউন্ড (অপারেশন অ্যান্ড ডিজিআর) কে এম জাফর উজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্রথম ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) মোট তিনটি ফ্লাইট কক্সবাজারে এবং দুটি ফ্লাইট চট্টগ্রামে পরিচালিত হয়েছে। এয়ার অ্যাস্ট্রার এই এয়ারক্রাফট ফ্রান্সে নির্মিত। এটিআর ৭২-৬০০ বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক টার্বোপ্রপ প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্য এয়ারক্রাফট। এয়ার অ্যাস্ট্রা কর্তৃপক্ষ জানায়, ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এয়ার অ্যাস্ট্রার দুটি এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের এয়ারক্রাফট দেশে পৌঁছেছে। এগুলোতে মোট আসন সংখ্যা ৭০টি। এ বছর একই মডেলের আরো দুটি এয়ারক্রাফট যুক্ত হবে তাদের বহরে। ২০২৩ সালে আরো ৬টি এয়ারক্রাফট এনে ১০টির বহর তৈরি করবে এয়ার অ্যাস্ট্রা।
দুই এয়ারক্রাফট দিয়ে প্রথমে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে দৈনিক তিনটি ও ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ার অ্যাস্ট্রা। পর্যায়ক্রমে বরিশাল ছাড়া দেশের সব অভ্যন্তরীণ রুটেই ফ্লাইট পরিচালনা করবে তারা। জানা যায়, ঢাকা থেকে কক্সবাজারের ওয়ানওয়ে সর্বনি¤œ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৭৯৯ টাকা এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের ওয়ানওয়ে সর্বনি¤œ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৬৯৪ টাকা।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে এয়ার অ্যাস্ট্রা উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। একই সঙ্গে ফ্লাইট সূচি ও টিকেট বিক্রির কার্যক্রম এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটও উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।