কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আগের সংবাদ

বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের আচরণবিধি মনে করালেন মোমেন

পরের সংবাদ

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট : স্বর্ণ পাচারের নিরাপদ রুট

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আফতাবুজ্জামান তাজ, হাকিমপুর (দিনাজপুর) থেকে : দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টকে নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে স্বর্ণ পাচারকারীরা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় পাসপোর্টযাত্রী ও আমদানি পণ্য খালাসকৃত ভারতীয় ট্রাকে প্রতিদিন পাচার হচ্ছে কোটি কোটি টাকার স্বর্ণ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানান, স্ক্যানার মেশিন না থাকায় পাচারকারীরা এই সুযোগ নিচ্ছে। মূলত হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন শত শত পাসপোর্ট যাত্রী বাংলাদেশ ও ভারতে আসা যাওয়া করছেন। এছাড়া প্রায় ২০০ ভারতীয় ট্রাক আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আবার রপ্তানিকৃত পণ্যবাহী বাংলাদেশি ট্রাক ভারতে যাচ্ছে। কিন্তু চেকপোস্টে নেই কোনো স্ক্যানার মেশিন। ফলে পাসপোর্ট যাত্রীদের লাগেজ চেকিংয়ের ব্যবস্থা না থাকার সুযোগে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে স্বর্ণ পাচার হচ্ছে।
এছাড়া ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা খালাসকৃত ফিরতি ট্রাকে এবং ভারতে রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাকেও স্বর্ণ পাচার হচ্ছে। আর এসব কারণে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দুই দেশের স্বর্ণ পাচারকারীরা।
সূত্র বলছে, স্বর্ণ পাচারকারীরা বগুড়া ও ঢাকা থেকে বাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলযোগে হিলিতে স্বর্ণ নিয়ে আসছে। এরপর সুযোগ বুঝে হিলি সীমান্তসহ চেকপোস্ট দিয়ে স্বর্ণ পাচার করছে। ভারতে স্বর্ণ পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে আকাশ পথের পাশাপাশি হিলি চেকপোস্টকে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাচার হওয়া এসব স্বর্ণ চলে যাচ্ছে ভারতের কলকাতাসহ বিভিন্ন রাজ্যে। সম্প্রতি দুই কোটি টাকা মূল্যের ২৪টি সোনার বারসহ পাসপোর্টধারী পাঁচ বাংলাদেশি যাত্রীকে আটক করে হিলি কাস্টমস গোয়েন্দা। এর আগে কয়েকজন বাংলাদেশি ভারতের কাস্টমসের হাতে ৩ কেজি স্বর্ণ নিয়ে আটক হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই পথ ব্যবহার করে ভারেত স্বর্ণ পাচার করে আসছে চক্রটি।
জানা গেছে, ঢাকার চক বাজার, তাঁতীবাজার, বগুড়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করে পাচারকারীরা। এরপর এসব স্বর্ণ নিয়ে যাওয়া হয় ভারতের কলকাতার বড় বাজার ও নিউমার্কেটে। সেখানকার দোকানে বিক্রি করা হয় এসব স্বর্ণ। প্রতিটি ১০ গ্রাম সোনার বারে তাদের লাভ হয় ৩ হাজার টাকা। হিলি ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদিউজ্জামান বলেন, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ব্যবহার করে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতয়াত করলেও যাত্রীদের লাগেজ বা শরীর তল্লাশিতে কোনো স্ক্যানার মেশিন নেই। ফলে এই সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে স্বর্ণ চোরাকারবারিরা।
হিলি কাস্টমস গোয়েন্দা শোয়েব রায়হান বলেন, স¤প্রতি চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ২ কোটি টাকা মূল্যের ২৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচজন পাচারকারীকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়