অমিত শাহের আশ্বাস : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

আগের সংবাদ

বিশ্বকাপের বাঁশি বাজল কাতারে

পরের সংবাদ

কামারখন্দে আ.লীগ-বিএনপি-পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ : বিএনপির ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা আ.লীগের

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দুলাল হোসেন মন্ডল, কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) থেকে : সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জামতৈল পশ্চিম বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ছয় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা বাদী হয়ে বিএনপির ২৬ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাতে রাব্বি উত্থান জানান, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল পশ্চিম বাজারে লিফলেট বিতরণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে শান্তিপূর্ণভাবে নেতাকর্মীরা ফেরার সময় কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছোড়ে। এতে বিএনপির ১৪-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। তিনি আরো জানান, এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী পাপিয়া ও জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদের গাড়িসহ ৪টি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে সন্ধ্যায় প্রতিবাদ মিছিল ও দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শেখ জানান, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা বিএনপি তাদের দলীয় কার্যালয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করে। সেই কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হয়। সেখানে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হলে অনেকে পদ পায়নি। তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বিএনপি দুটি গ্রুপে বিভক্ত আছে। এই দুই গ্রুপের কোন্দলের কারণে তারা সেই কর্মসূচিতে নিজেরাই মারামারি, হট্টগোল করে বাড়ি ফিরছিলেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা ফেরার পথে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের বেশ কিছু নেতাকর্মীর মধ্যে কেউ নামাজে ও কেউ জামতৈল বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় ১৪-১৫ জনের ওপর হামলা করে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা আমাদের ৫-৭টি মোটরসাইকেল ও বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে। এতে আমাদের প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী প্রধান জানান, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা বিএনপির ২৬ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় দুইজন বিএনপির নেতাকে আটক করা হয়েছে।
কামারখন্দ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আদনান মোস্তাফিজ জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে জামতৈল বাজারে দোকানপাট ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় আমি ও ওসিসহ ৬ জন আহত হয়েছি। তিনি আরো জানান, সংঘর্ষ শেষে সংঘর্ষ স্থান থেকে ৫টি ককটেল সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়