কাগজ প্রতিবেদক : কখনো ব্যবসায়ী, কখনো প্রবাসী আবার কখনো সেনাবাহিনী বা প্রশাসনের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলতেন আরিয়ান আহম্মেদ (৩৭) নামে এক যুবক। এভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। ইতালি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলের তিনি! কিন্তু এর আগেই গ্রেপ্তার হন। আরিয়ানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বহুরূপী প্রতারক আরিয়ান আহম্মেদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে গতকাল বুধবার ভোরেরে কাগজকে এসব তথ্য জানান উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহসিন। এর আগে গত মঙ্গলবার জনতা হাউজিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি বলেন, আরিয়ান মিজান নামে এক প্রবাসীর কাছ থেকে কম্পিউটার ব্যবসায় বিনিয়োগ করার নামে ১ লাখ টাকা নেন গ্রেপ্তার আরিয়ান। এরপর ব্যবসার জন্য স্বর্ণের বার কেনার কথা বলেও নেন ৯ লাখ টাকা। প্রতারিত হচ্ছেন বিষয়টি বুঝতে পেরে আরিয়ানের কাছে টাকা চাইলে ১০ লাখ টাকা পরিশোধের নাম করে তাকে ভুয়া চেক দেন।
মিঠুন সরকার নামে আরেক ব্যক্তির কাছে নিজেকে কানাডাভিত্তিক একটি এনজিওর কান্ট্রি ডিরেক্টর পরিচয় দেন আরিয়ান। এই এনজিওর উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে দেন বলে জানান তিনি। পরে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কানাডায় নিয়ে যাওয়া হয় বলেও জানান তিনি। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার নামে মিঠুনের কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন মাত্র এসএসসি পাস করা প্রতারক আরিয়ান। মিজান ও মিঠুন এ ব্যাপারে অভিযোগ জানালে গতকাল জনতা হাউজিং এলাকা থেকে আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইতালি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু এর আগেই গ্রেপ্তার হয়ে যান।