জাহাঙ্গীর কবির নানক : বিএনপির মানবতার শিক্ষা নেয়া দরকার

আগের সংবাদ

এপার ওপার সুড়ঙ্গ সংযোগ : কর্ণফুলীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ উদ্বোধনের অপেক্ষায়

পরের সংবাদ

‘এক দেশের গালি আরেক দেশের বুলি’

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিনোদন প্রতিবেদক : গত ১১ নভেম্বর বিবাহিত নারীদের নিয়ে আয়োজিত বিউটি কনটেস্ট ‘মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এর গ্র্যান্ড ফিনালের মঞ্চে উপস্থাপিকা ইশরাত পায়েল ও বিচারক মীর সাব্বিরের একটি আলাপ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উপস্থাপিকা অভিযোগ তুলেছেন, মীর সাব্বির নারীর পোশাক নিয়ে যেটা বলেছেন সেই মন্তব্যটি আপত্তিকর। অন্যদিকে মীর সাব্বির বলছেন, ‘এটি শ্রেফ বরিশালের আঞ্চলিক ভাষা। আপত্তিকর নয়।’
বাক্যটি ছিল ‘এই মাতারি তুমি এমন উদলা হইয়া দাড়ায়ে আছো কিল্লেইজ্ঞা’। তবে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে ইশরাত পায়েল বলেন, ‘উনি নারীর পোশাক নিয়ে যে মন্তব্যটি করেছেন সেটি অশোভন। আমি ওয়েস্টার্ন পোশাকে ছিলাম। বুঝতে পারছি না। উনি বুঝে বলেছেন নাকি না বুঝে বলেছেন। এটা এক প্রকার বুলিং। ওনার সরি বলা উচিত ছিল।’
বিষয়টি নিয়ে গত দুদিন শোরগোল পড়ে যায় অনলাইনে। এ নিয়ে অভিনেতা সাব্বির গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, ‘এক দেশের গালি আরেক দেশের বুলি। মিসেস ইউনিভার্সের একটি প্রতিযোগিতায় আমি অতিথি হয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে একটি কথা নিয়ে প্রসঙ্গক্রমে উপস্থাপিকা দুই একটি কথা বলেছেন। মঞ্চে আমার সঙ্গে কথা বলার পর দেখলাম, ওই উপস্থাপিকা তার বরাত দিয়ে দুই-একটি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত করেছেন। আসলে মূল বিষয়টা ছিল, মানে বলতে পারেন তেমন কিছুই না। একটা ছোট্ট বিষয়কে হঠাৎ করে বড় করার চেষ্টা করা হয়েছে। উপস্থাপিকা মজার ছলে আমার বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কথা শুনতে চেয়েছেন। যেহেতু আমি বরিশালের ছেলে। আমি যে কথাটা বলেছিলাম, সেটা উপস্থাপিকা চমৎকার হেসে রিসিভ করেছেন এবং দর্শকরা তখন মজা পেয়েছেন। আমি যেটা বলেছি সেটা তাৎক্ষণিক এবং এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। কাউকে হেয় করার জন্য কিছু বলিনি। উপস্থাপিকা যে আমার ছোট বোনের মতো। সে যদি কষ্ট পেয়ে থাকে তাহলে আমি দুঃখ প্রকাশ করতেই পারি। সেটা নিয়ে এভাবে ফেসবুক কিংবা বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তৃতা দিয়ে ছড়ানোর কিছু নেই। আমাকে বললেই পারত ‘দাদাভাই কিংবা ভাইয়া আপনাকে আমি রেসপেক্ট করি। আপনার কথায় আমি কষ্ট পেয়েছি।’ আমি তখন হয়তো বলতাম ‘সরি তুমি কষ্ট পেও না। আমি তোমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য কথাটা বলিনি। কারণ তুমি আমার শব্দের মানে বুঝতে পারনি।’ অতএব মন খারাপ না করে আমি আশা করছি, সবার মতো আমার এই ছোট বোনটিরও আমার সম্পর্কে ধারণা এবং আমার বরিশালের আঞ্চলিক ভাষার ক্ষেত্রে (শব্দের মানে না বোঝার কারণে) যত অভিমান আছে সেটা ভুলে গিয়ে পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়