কেন্দ্রীয় ব্যাংক : ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে

আগের সংবাদ

মাদকের টাকায় অস্ত্রের মজুত : মিয়ানমার সীমান্তে বেপরোয়া আরসা, আল ইয়াকিন > রোহিঙ্গা শিবিরে অস্থিরতার পেছনেও এরাই

পরের সংবাদ

১ জনের মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল : সুনামগঞ্জে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে সংঘর্ষের পর পরই একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেলেও এ মৃত্যু নিয়ে সঠিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার বিএডিসি মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্মেলন শুরু হলে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল মঞ্চের সামনে এসে কেন্দ্রীয় নেতাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে মঞ্চে থাকা নেতাকর্মী মঞ্চে থাকা চেয়ার হাতে নিয়ে ঢাল তৈরি করে নিজেদের রক্ষা করেন। এ সময় সম্মেলনস্থলে থাকা দিরাই থানা পুলিশ তাদের মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
১০-১৫ মিনিট ধরে চলা সংঘর্ষে আহত হয়েছেন মঞ্চে থাকা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আজিজুস সামাদ ডন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. খায়রুল কবির রুমেন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু, কাউন্সিলর এবিএম মাসুম প্রদীপ, যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শফিক মিয়া, হাসান মিয়া, এমরান, রেজা মিয়াসহ অন্তত ৫০ জন। এ সময় মঞ্চে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, সংসদ সদস্য জয়া সেন গুপ্ত, মহিবুর রহমান মানিক, দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আজমল হোসেন। তিনি উপজেলার কুলঞ্জ গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দুপক্ষই আজমলকে নিজেদের পক্ষের লোক বলে দাবি করেছে।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মনি রাণী তালুকদার জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আজমল হোসেনের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে তার ভাগ্নে রোমান আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি শুধু বলেন, পরে কথা বলি, পরে কথা বলি।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো লোক মারা যাওয়ার খবর আমার জানা নেই। তাছাড়া এ রকম অপঘাতে কারো মৃত্যু হলে হাসপাতাল থেকে আমাকে চিঠি দিয়ে জানাবে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন বলেন, এ হামলা আমাদের ওপর নয়, দলের ওপর চালানো হয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনে আওতায় নিয়ে আসা হবে। হামলার এক ঘণ্টা পরে আবার সম্মেলন শুরু হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে মঞ্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাই মোশাররফ হোসেন ও রঞ্জন রায়কে দল থেকে বহিস্কার করা হলো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়