প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ প্রতিবেদক : ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড (বিআইএফসি) থেকে প্রায় ২৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে মামলাটির অনুমোদন দেয়া হয়।
অনুমোদিত মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মেসার্স টেলিকম সার্ভিস এন্টারপ্রাইজের মালিক সিরাজুল ইসলাম, বিআইএফসি পরিচালক আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, এ এম এম জাহাঙ্গীর আলম ও রইস উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহমুদ মালিক, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুর রহমান, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়ফ ফকরে ফয়সাল, সাবেক এভিপি আহমেদ করিম চৌধুরী ও সাবেক সিনিয়র অফিসার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বিআইএফসির সাবেক চেয়ারম্যান তার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও কর্মকর্তাদের সহায়তায় প্রতারণামূলকভাবে মেসার্স টেলিকম সার্ভিস এন্টারপ্রাইজের মালিক সিরাজুল ইসলামের নামে নিরাপত্তা জামানত ও মর্টগেজ ছাড়াই ১১ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ দেখিয়ে গ্রাহকদের ২৩ কোটি ৮৯ লাখ ৯ হাজার ১২৩ টাকা আত্মসাৎ করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শিগগিরই মামলাটি দায়ের করা হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মেসার্স টেলিকম সার্ভিস এন্টারপ্রাইজের মালিক সিরাজুল ইসলাম, তার স্বাক্ষরে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ বিআইএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর ৬০ দিন মেয়াদে ১১ কোটি টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের বিপরীতে ব্যবস্থাপনা কমিটি ১৮ শতাংশ সুদে ৬ মাসের জন্য এমন প্রস্তাব বোর্ডে উত্থাপন করে। সিকিউরিটি হিসেবে প্রায় ১২ কোটি টাকার তারিখবিহীন স্বাক্ষরিত চেক রাখার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে নিরাপত্তা জামানত হিসেবে চেক কিংবা অন্য কোনো সম্পদ মর্টগেজ নেয়া হয়নি। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আবেদনকারীর সিআইবি রিপোর্টও সংগ্রহ করা হয়নি। ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৭৫তম সভায় এই ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি আলোচিত হয় এবং ৬ মাসের জন্য ১০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার বিষয়টি অনুমোদিত হয়। কিন্তু বিতরণ করা হয় ১১ কোটি টাকা।
এজহারে বলা হয়, আসামি সিরাজুল ইসলাম অপর আসামি আহমেদ করিম চৌধুরীর ভাই, যিনি বিআইএফসির এভিপি ও ইউনিট হেড। ঋণগ্রহীতা আসামি সিরাজুল ইসলাম মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানের প্রতিষ্ঠান সানম্যান গ্রুপের ডিজিএম। অন্য আসামি কোম্পানির পরিচালক রইস উদ্দিন মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানের শ্যালক।
দুদক সূত্র জানায়, মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে এর আগেও ২টি মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মামলাগুলোতে ১৪ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ও ২৮ কোটি ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।