কেন্দ্রীয় ব্যাংক : ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে

আগের সংবাদ

মাদকের টাকায় অস্ত্রের মজুত : মিয়ানমার সীমান্তে বেপরোয়া আরসা, আল ইয়াকিন > রোহিঙ্গা শিবিরে অস্থিরতার পেছনেও এরাই

পরের সংবাদ

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী : বাংলাদেশের নাম বললেই বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে বিশ্ব

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন বাংলাদেশ বললে বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে বিশ্ব। দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। গতকাল সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (বিআইসিসি) জেলা পরিষদে নবনির্বাচিত ৫৯ জন চেয়ারম্যানের শপথ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে ৬২৩ জন পুরুষ ও নারী সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। স্থ’ানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো ইব্রাহীমের সঞ্চালনায় শপথ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকম, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।
জেলা পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে বিভিন্ন দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু যখন আপনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন; তখন আপনার দায়িত্ব সবার জন্য কল্যাণমূলক কাজ করা। প্রতিটি মানুষ যেন উন্নয়নের ছোঁয়া পায় সে ব্যবস্থাই আমরা নিয়েছি। লাখো শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। বাংলাদেশকে উন্নত করতে হবে। তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ যাতে শহরের সুযোগ-সুবিধা পায় এ জন্য আমরা নানা কর্মসূচি নিয়েছি। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করে না। আমরা জনকল্যাণমূলক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। মানুষের উন্নয়নে কী কী কাজ করা যায় সেটা আপনাদের ভাবতে হবে। আপনারা চাইলে জনগণের সেবা দিয়ে মন জয় করতে পারেন। আর যদি চান জনগণের সম্পদ লুট করে চিরদিনের জন্য বিদায় নিতে, তাও পারেন। এটা হলো বাস্তবতা। যেহেতু জনগণ আপনাদের ওপর আস্থা রেখেছে, আপনারা সেবা দিয়ে জনগণের মন জয় করে দেশের উন্নয়নে আত্মনিবেশ করবেন, এটাই আমি চাই।
রিজার্ভের টাকা মানুষের কল্যাণে খরচ করার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি যে, বর্তমানে একটা কথা আসছে- রিজার্ভ, রিজার্ভ, রিজার্ভ, রিজার্ভ নেই। রিজার্ভের টাকা নাকি সব চুরি হয়ে গেছে। আমরা ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তার আগে বিএনপি ছিল। রিজার্ভ ছিল ২ দশমিক ৬ বা ৯ বিলিয়ন ডলার। আর ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন রিজার্ভ ৫ বিলিয়ন ছিল। এই ৫ বিলিয়ন রিজার্ভ থেকে আমরা প্রায় ৪৮ বিলিয়নের কাছাকাছি উঠাতে পারি। তিনি বলেন, রিজার্ভ নিয়ে অপপ্রচার চালানোর কী আছে। রিজার্ভ আমরা দেশের মানুষের জন্য খরচ করেছি। রিজার্ভের টাকা খরচ হতে থাকে, এটা রোলিং করে। করোনাকালে যোগাযোগ বন্ধ, আমদানি, রপ্তানি বন্ধ, যেতেও পারে না আসতেও পারে না। এই অবস্থা ছিল। যখন করোনা শেষ হয়ে যায় তখন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, ইন্ডাস্ট্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে এমনকি চাষবাসের জন্য যে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনা, সেগুলোর জন্য আমাদের টাকা খরচ করতে হয়। করোনা মহামারি শেষ হতে না হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। সবকিছুর দাম বেড়েছে। আমাদের বিদেশ থেকে অনেক কিছু আমদানি করতে হয়। এজন্য আমাদের অর্থ দরকার।
এ সময় বিএনপির কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোকো মারা যাওয়ার পর আমি

সান্ত¡না দিতে গিয়েছিলাম। দুঃখের কথা বলে যাই, সবকিছু ভুলে সন্তান হারা মা- ঠিক আছে আমি যাই, একটা সান্ত¡না দিয়ে আসি। আমাকে ঢুকতে দেয়া হলো না, দরজা বন্ধ। আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার কন্যা আমাকে কত অপমান করেছে আপনারা ভেবে দেখেন। তারপরও আমি তার প্রতি দয়া দেখিয়েছি, তার বাড়িতে তাকে থাকতে দিয়েছি; কারণ আমরা তো তাদের মতো অত ছোট মন নিয়ে আসেনি। এরা নানারকম অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
করোনার পর মুক্তভাবে আসতে পারায় নিজের ভালো লাগার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক দীর্ঘ বক্তৃতা দিলাম। কারণ অনেক দিন পর পেলাম তো। বন্দিখানায়ই তো ছিলাম করোনার সময়ে। প্রায় দুই-আড়াই বছর ওই ভিডিও কনফারেন্সে বাক্স বন্দি। ২০০৭ সালে ছিলাম আসল জেলে। সেই জেল ছিল ছোট। আর করোনার সময় ছিলাম বড় জেলে। কিন্তু সুবিধা এইটুকু অন্তত ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সেই সুবাদে ভিডিও কনফারেন্স করতে পেরেছি। আজকে একটু মুক্তভাবে আসতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়