হাতিরঝিল লেক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

আগের সংবাদ

এলসি-এনডোর্সমেন্টে বিড়ম্বনা : ডলার সংকটে মূলধনি যন্ত্রপাতি-কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত > বিদেশ যাত্রায় বিপাকে সাধারণ মানুষ

পরের সংবাদ

ভাঙ্গুড়ায় প্রধান শিক্ষক নেই ২৩ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : ভাঙ্গুড়া উপজেলার ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ২৯টি। অবসর ও মৃত্যুজনিত কারণে এবং সরাসরি নিয়োগ না থাকায় এত পদ শূন্য হয়ে রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ ও পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে ৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক নেই ২৩টিতে। আর সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য ২৯টি। এসব বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষক সংকট নিয়ে ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককেও দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি অনেক ক্লাস নিতে হয়। আবার প্রধান শিক্ষক না থাকলে সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এতে দাপ্তরিক কাজ করতে গিয়ে ঠিকমতো ক্লাস নিতে পারেন না। সব মিলিয়ে শিক্ষক সংকটের কারণে উপজেলার বিদ্যালগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলার পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান সবুজ বলেন, আমার বিদ্যালয়ে একজন সহকারী শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন শূন্য রয়েছে। দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি আমাকেও পুরোদমে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। ৪ জন শিক্ষক মিলে পাঠদান করাতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা। করতকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কানিজ ওয়ারেসি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়টিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়া বিদ্যালয়ে একজন সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে। দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি প্রতিদিন আমাকে ৫টি ক্লাস নিতে হয়। বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষক নেই। এতে ঠিকমতো না হয় দাপ্তরিক কাজ, না হয় পাঠদান।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপজেলায় ২৩টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ২৯টি সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। বিষয়টি চিঠি দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি নভেম্বরে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। তখন এই সংকট কেটে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়