হাতিরঝিল লেক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

আগের সংবাদ

এলসি-এনডোর্সমেন্টে বিড়ম্বনা : ডলার সংকটে মূলধনি যন্ত্রপাতি-কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত > বিদেশ যাত্রায় বিপাকে সাধারণ মানুষ

পরের সংবাদ

নড়বড়ে কাঠের ব্রিজে ৮ গ্রামের মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হাফিজুল ইসলাম স্বপন, ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) থেকে : ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় নদীর উপর তৈরি কাঠের ব্রিজটির কয়েকটি স্থানে ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এমনকি ওই কাঠের ব্রিজে নেই কোনো রেলিং। ওই ঝুঁকিপূর্ণ নড়বড়ে ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াত করে সাত থেকে আট গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যখন ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াত করে তখন তাদের পানিতে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তবে ব্রিজটি নির্মাণ বা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
মূলত ১৯৯২সালে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ৮নং রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের আক্তা গাঙ্গিনারপাড় বাজার সংলগ্ন স্থানে বানার নদীর উপর ওই কাঠের ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার চৌধুরী এই কাঠের ব্রিজটি নির্মাণ করেন। দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ২০১২ সালে কাঠের ব্রিজটি সংস্কার করে যাতায়াতের উপযোগী করেন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সালিনা চৌধুরী কাঠের ব্রিজটির পুনরায় সংস্কার করেন। স্বাধীনতার পর দীর্ঘ বছরে ১০ জনের বেশি চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করলেও এখনো সেই কাঠের ব্রিজটিই রয়ে গেছে। কিছু দিন যাবৎ ব্রিজটির মাঝখানে কিছু কিছু জায়গায় কাঠ উঠে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে। যে কারণে সাইকেল, ভ্যান, মোটরসাইকেল, এমনকি পায়ে হেঁটে যাতায়াতও এখন ঝুঁকিপূর্ণ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ব্রিজটির পশ্চিমে আনুহাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্বে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আকতা উচ্চ বিদ্যালয়। দক্ষিণে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা, একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি বালিকা বিদ্যালয়। উত্তরে রয়েছে একাধিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ ব্রিজ দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী। এছাড়া প্রতিদিন জীবন-জীবিকার তাগিদে এই ব্রিজটি পাড় হয়ে পদ্মা বিল ক্ষেত বড়বিলায় যায় কয়েকশ মানুষ। আনুহাদী, আক্তা, বিষ্ণুরামপুর, রাঙ্গামাটিয়াসহ সাত থেকে আট গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই কাঠের ভাঙা ব্রিজটি। এছাড়াও বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগীদের জরুরি চিকিৎসা সেবা নিতে এবং উৎপাদিত কৃষিপণ্য উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে বাজারজাত করতে এই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের ব্রিজটি পার হতে হয়।
স্থানীয়দের দাবি, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে পারাপারের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই দুর্ভোগ লাঘবে অতি দ্রুত ব্রিজটি পাকা করা হোক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের আকন্দ জানান, ব্রিজটি দুইবার সংস্কার করা হয়েছে। ব্রিজটি পাকা করা জরুরি।
বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মুক্তা বলেন, ‘আমি এমপি স্যারের কাছে দাবি করছি দ্রুত ব্রিজটি পাকা করা হোক।’
ফুলবাড়ীয়া উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব মুর্শেদ জানান, ব্রিজটির ওপারে এলজিইডির রাস্তা না থাকায় এটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের আওতায় পড়ে না। এ ধরনের ৩০-৫০ মিটার লম্বা ব্রিজ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের (পিআইও) আওতায় নির্মাণ করা হয়। এ ব্যাপারে জানতে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেনের মোবাইলে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়