হাতিরঝিল লেক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

আগের সংবাদ

এলসি-এনডোর্সমেন্টে বিড়ম্বনা : ডলার সংকটে মূলধনি যন্ত্রপাতি-কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত > বিদেশ যাত্রায় বিপাকে সাধারণ মানুষ

পরের সংবাদ

আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স এখন নিজেই রোগী

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাহফুজ মামুন, চুয়াডাঙ্গা থেকে : মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভারত সরকারের দেয়া আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স দুটি অযতœ-অবহেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে চুয়াডাঙ্গায়। প্রয়োজনীয় লোকবল ও অপ্রতুল যন্ত্রপাতির কারণে এক বছরেও তা চালু করা সম্ভব হয়নি। আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স চালানো ব্যয়বহুল হওয়ায় উদ্যোগটি মুখ থুবড়ে পড়েছে।
স্থানীদের দাবি, অ্যাম্বুলেন্স দুটি চালু হলে স্বাস্থ্যসেবায় কিছুটা গতি আসবে। অনেকে বলছেন, যা চালানোর ব্যবস্থা নেই তা দিয়ে ঘর বোঝাই করে রাখার দরকার নেই। বিএমএ সভাপতি বলেন, প্রয়োজন না থাকলে অন্যত্র দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হোক। অথবা যে জেলায় মেডিকেল কলেজ আছে সেখানে পাঠিয়ে দেয়া হোক। ২০২১ সালের ২৭ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল একটি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ পায়। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাকে একই অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্স দুটি ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে আসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অ্যাম্বুলেন্স আনার পর যেখানে রাখা হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই সেখানেই পড়ে রয়েছে। সচল রাখতে শুরুতে স্টার্ট দেয়া হলেও ব্যাটারি বসে যাওয়ার কারণে এখন আর স্টার্ট দেয়া যায় না। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্সটি গাড়ির গ্যারেজে বন্দি অবস্থায় রাখা আছে। বর্তমানে এর প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অর্ধেক রয়েছে। তাতে মরিচা পড়ছে, মাকড়সা-পোকামাকড়ের নিরাপদ আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটি বর্তমানে সিভিল সার্জন অফিসের ভেতরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। এর ৪টি চাকা বসে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদর হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, লোকবলের অভাবে হাসপাতাল চালানো অসম্ভব। অ্যাম্বুলেন্স দেখে রাখতে হলে নিয়মিত একটি লোক দিতে হবে। লোকবলের অভাবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে জোড়াতালি দিয়ে। আগে প্রয়োজনীয় লোকবল দিয়ে স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করা হোক। তারপর অন্য চিন্তা। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদ বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী বহনে সেবাপ্রত্যাশীদের ৪০-৫০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। এত টাকা খরচ করে কারো পক্ষে রোগী ঢাকায় নেয়া সম্ভব হবে না। পৌরসভার পক্ষে লাখ লাখ টাকা ভর্তুকি দেয়া সম্ভব নয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক সাকো বলেন, গাড়ি রাখার ছাউনি না থাকায় বাইরে পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্সটি। এভাবে গাড়িটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিএমএ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হিরোক চৌধুরী জানান, অ্যাম্বুলেন্সটি এখানে কাজে না লাগলে অন্য জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হোক। অন্য কোনো মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেয়া হোক।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক বলেন, সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সের খরচ ৩ গুণ বেশি। এ পর্যন্ত কেউ ভাড়া নিতে আসেনি। যন্ত্রপাতি অনেক কম রয়েছে। তা দিয়ে চালানো সম্ভব নয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়