কাগজ প্রতিবেদক : যশোরে ভৈরব নদের তীরে গড়ে ওঠা পরিবেশ দূষণকারী এস এ এফ ট্যানারি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরিবেশগত ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত ট্যানারিটির সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও নির্দেশ দেন আদালত। সেইসঙ্গে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট), খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ও যশোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালককে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম তদারকির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে পরিবেশবিষয়ক সংগঠন বেলার করা রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এ সময় আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী ও এস হাসানুল বান্না।
হাসানুল বান্না পরে সাংবাদিকদের জানান, পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া দীর্ঘদিন চালু ছিল প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে পরিবেশগত ক্ষতির বিষয়টি আদালতের কাছে তুলে ধরা হয়। পরে আদালত ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্তÍ প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৮০ সাল থেকে আইনের বাধ্যতামূলক পরিবেশগত ছাড়পত্র, ইটিপি এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ছাড়াই যশোরের অভয়নগরে ভৈরব নদের তীরে এস এ এফ ট্যানারিটি চালু আছে। এ প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য সরাসরি ভৈরব নদে ফেলা হয়। একাধিকবার সতর্ক ও জরিমানা করা সত্ত্বেও আইন অমান্য করে দূষণ কার্যক্রম চালু রাখায় রিট দায়ের করে বেলা। রিটে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), যশোর জেলা প্রশাসক (ডিসি), যশোর পুলিশ সুপার (এসপি), পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট), খুলনা বিভাগীয় পরিচালক, যশোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক, অভয়নগরের এস এ এফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিবাদী করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।