পাচার অর্থ ফেরাতে আট দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় দুদক

আগের সংবাদ

টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তায় নজর : দেশীয় গ্যাস-কয়লা উত্তোলন, তেলের মজুত ও পরিশোধন সক্ষমতা বাড়ানো, পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি

পরের সংবাদ

সিংগাইরে শিক্ষক বদলিতে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) থেকে : আবারো আলোচনায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিইও) মো. ফারুক হোসেন। তার বিরুদ্ধে এবার শিক্ষক বদলিতে অনিয়ম-দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর এ অভিযোগ করেন ৩ নং গোবিন্ধল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিরিন আক্তার। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এটিইও ফারুকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয় ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্লিপের টাকায় কেনাকাটা নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ভোরের কাগজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর উপজেলা প্রশাসন থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও এখনো সে রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার ৩ নং গোবিন্ধল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিরিন আক্তার ৮৪ নং গোবিন্ধল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির জন্য গত ২৭ সেপ্টেম্বর আবেদন করেন। জ্যেষ্ঠতা, দূরত্ব, জেন্ডার, স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা ও দুটি কন্যা (শিশু) সন্তানের কথা বিবেচনায় বদলিতে তার অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা ছিল। তবে বদলির জন্য ওই শিক্ষকের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুস দাবি করেন এটিইও ফারুক হোসেন। কিন্তু চাহিদামতো টাকা না দেয়ায় শিক্ষক শিরিন আক্তারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অজুহাতে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ চাকরিকালীন ক্ষতি করবেন বলে হুমকি দেন ফারুক হোসেন।
অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, নিয়মবহির্ভূতভাবে শিরিন আক্তারের পরিবর্তে পারিল নওয়াধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তানজিনা আক্তারকে ওই স্কুলে বদলি করা হয়। যা অভিযোগকারীর ওপর অবিচার করা হয়েছে। তদন্ত করে ওই বদলির আদেশ বাতিলসহ এটিইও ফারুক হোসেনের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান শিক্ষক শিরিন আক্তার।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত সিংগাইর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘গত অক্টোবরে নতুন সার্কুলার মেনে বদলি অর্ডার হয়েছে। এখানে আমার কোনো হস্তক্ষেপ নেই।’
সিংগাইর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নার্গিস আক্তার বলেন, ‘সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষক বদলি হয়েছে। টাকা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সে হয়তো বদলির ক্যাটাগরিতে পড়ে নাই।’
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার তাপস চন্দ্র অধিকারীকে একাধিকবার ফোন দিলেও তা রিসিভ করেননি তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়