পাচার অর্থ ফেরাতে আট দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় দুদক

আগের সংবাদ

টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তায় নজর : দেশীয় গ্যাস-কয়লা উত্তোলন, তেলের মজুত ও পরিশোধন সক্ষমতা বাড়ানো, পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি

পরের সংবাদ

রাজশাহীর কুমারপাড়া : মন্দিরের ইট ও লোহা বিক্রি করছেন ‘অবৈধ’ সেবায়েত

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহী নগরীর কুমারপাড়া এলাকার শ্রী শ্রী গোপীনাথ জিউদেব বিগ্রহ মন্দিরের ইট, পুরাতন কাঠ, পুরাতন লোহা খুলে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে সেবায়েত প্রভূনাথ প্রসাদের বিরুদ্ধে। তিনি অবৈধভাবে সেবায়েত হিসেবে রয়েছেন বলেও স্থানীয় হিন্দুদের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধকালে মন্দিরটির সেবায়েত ছিলেন মধুসূদন ব্রজবাসী। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনারা তাকে হত্যা করে।
এ সুযোগে মন্দিরটির সেবায়েত হন কৃষ্ণগোপাল কেলেতোর ব্রজবাসী ও ত্রিবেনী চৌবে। তারা ছিলেন ভারতীয় নাগরিক। বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছে মামলা হলে তাদের দাবি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। পরে হাইকোর্টও রায় দেন তাদের বিপক্ষে। এছাড়া আরেকটি মামলা হয় আদালতে। সেটি এখনো বিচারাধীন।
হিন্দুরা জানান, ১৯৯৪ সালের হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী তার সেবায়েত হওয়ার কোনো বৈধতা নেই।
হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে মন্দিরটি রক্ষা করতে হিন্দু সমাজ কর্তৃক একটি সভা আহ্বান করা হয় ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে। ওই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটি এবং ২৭ সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি মন্দির পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি মাসে তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। তবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
স্থানীয় কয়েকটি হিন্দু পরিবারের অভিযোগ, মন্দিরটির বর্তমান সেবায়েত দাবিদার প্রভূনাথ প্রসাদ অবৈধভাবে দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি পাঁয়তারা করছেন মন্দিরের জমি বিক্রির। ইতোমধ্যে ইট, পুরাতন কাঠ, পুরাতন লোহা খুলে বিক্রি করেছেন। তার ভয়ে সাধারণ হিন্দুরা মুখ খুলতে পারেন না।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপন্ন সরকার ভোরের কাগজকে বলেন, সেবায়েত প্রভূনাথ প্রসাদ অবৈধভাবে অনেকটা পেশিশক্তি খাটিয়ে দায়িত্বে আছেন। কয়েকটি হিন্দু পরিবারের নামে মামলা করেছেন তিনি। অথচ হাইকোর্টের রায় রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেবায়েত প্রভূনাথ প্রসাদ ভোরের কাগজকে বলেন, বৈধভাবেই দায়িত্বে রয়েছি। মন্দিরের কোনো জিনিস বিক্রি করিনি। উত্থাপিত অভিযোগ সঠিক নয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়