সংসদে অনির্ধারিত আলোচনা : বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেয়া হবে না : কাদের

আগের সংবাদ

একগুচ্ছ শর্ত আইএমএফের : ভর্তুকি কমানোয় জোর, ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, অর্থনৈতিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা

পরের সংবাদ

টাইগারদের ওয়াসিমের প্রেসক্রিপশন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পাকিস্তানের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। এজন্য বাংলাদেশের খেলোয়াড়রাই দায়ী বলে উল্লেখ করেন পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তী পেসার ওয়াসিম আকরাম। তিনি বাংলাদেশের কোচ বা অধিনায়ক হলে খেলোয়াড়দের মনোবিদ দেখাতেন বলেও জানান।
আকরাম বলেন, খেলায় হারের জন্য বাংলাদেশকে নিজেদেরই দোষ দিতে হবে আর এটাই তাদের করা উচিত। আমি যদি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বা কোচ হতাম তাহলে আমি নিশ্চিত এই ছেলেদের মানসিক ডাক্তারের কাছে পাঠাতাম। কারণ একটা সময় খেলার রাশ ছিল বাংলাদেশের হাতেই। ৫৪ রানে ভালোই ব্যাট করছিলেন শান্ত এবং তখন সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। ২ উইকেটে ৭৩ রান করার কারণে আমি ভেবেছিলাম তারা ১৬০ রানে পৌঁছে যাবে। কিন্তু তখন শান্ত বেরিয়ে এসে অযথা ইফতিখারের বলে অদ্ভুত শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান। আপনি যদি এক রান করেও সে সময় নিতে থাকতেন, তাহলে স্কোরটি খুব সহজেই ১৫৫-এ পৌঁছে যেত। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনি যখন দেখবেন এক ওভারের জন্য অধিনায়ক কোন বিশেষ বোলারকে নিয়ে আসে, তখন আপনাকে বুঝতে হবে সে উইকেট নিতে এসেছে। দলের মূল বোলারের বিপক্ষে আপনি তখন শট খেলবেন না, সেই ওভারে স্ট্রাইক রোটেট করে খেলবেন।
কিন্তু তারা আফ্রিদিকেই মেরে খেলার মন স্থির করল। তাদের উচিত ছিল আফ্রিদিকে সাবধানে খেলা।
সহজ সমীকরণের খেলা ছিল বাংলাদেশে-পাকিস্তানের মধ্যে। ম্যাচে যে জিতবে সে-ই পৌঁছে যাবে সেমিফাইলে। তবে বাংলাদেশের ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যার্থতায় প্রথমবারের মতো সেমিতে যাওয়ার সুযোগ হাতে পেয়েও তা হারাতে হয়েছে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও সুপার টুয়েলভে নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে দৌড়ে ছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৭০ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। এরপর ১১তম ওভার থেকেই যাওয়া-আসার মিছিল শুরু হয় টাইগার ব্যাটারদের। পরের ১০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলতে পারে তারা। পাকিস্তানের পেসার আফ্রিদি ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ২২ রানে ৪ উইকেট নেন। ১২৮ রানের টার্গেট ১১ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তানের ব্যাটাররা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়