গ্রেপ্তার ৭ : ইশরাকসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আগের সংবাদ

শর্তগুলো কঠিন হলেও যৌক্তিক : আইএমএফের শর্ত মেনেই ঋণ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ব্যবসায়ীদের আপত্তি

পরের সংবাদ

পাথরঘাটার শাপলা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক কারাগারে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) থেকে : পাথরঘাটায় এক নারী রোগীর স্বজনের দায়ের করা মামলায় ডাক্তার বশির আহমেদের জামিন হয়েছে।
এ মামলায় ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক মিলন মেম্বারের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, পাথরঘাটা হাসপাতাল রোডে অবস্থিত শাপলা ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে সুরমা বেগম (৩০) নামক এক নারীকে ডাক্তার বশির আহমেদ এবং ঢাকা থেকে আসা ডা. তরুন কুমার সিকদার মিলে দুবার অপারেশন করলে সুরমা অসুস্থ হয়ে পড়েন। একদিনের ব্যবধানে দুবার কাটা-ছেঁড়ার ফলে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই নারী। এ ঘটনায় স্বজনের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়।
রোগীকে পেটে ব্যথার জন্য পাথরঘাটা শাপলা ক্লিনিকে ভর্তি করলে ডাক্তার বশির আহমেদের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অ্যাপেনডিক্স ধরা পড়ে। এর জন্য অপারেশন করতে নিয়ে গেলে এ সময় পেটের মধ্যে জরায়ু টিউমার ধরা পড়ে বলে তিনি জানান। এ অবস্থায় তিনি অপারেশন ছাড়াই ওই রোগীর পেট সেলাই করে রেখে দেন।
এরপরে অপর এক ডাক্তার তরুন কুমার সিকদার কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে অপারেশন করতে গেলে একই অবস্থা দেখে অপারেশন না করে তিনিও পেট সেলাই করে রেখে দেন বলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়। এ অবস্থায় রোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবার ও স্বজনরা হাসপাতালের মধ্যে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন।
পরবর্তীতে পুলিশকে খবর দিলে এসআই বেলায়েত হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। গত শনিবার রাতে ডাক্তার বশির ও ক্লিনিক মালিক মিলনকে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়।
রোগীর পরিবার মামলা করার পর গতকাল রবিবার পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়