গ্রেপ্তার ৭ : ইশরাকসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আগের সংবাদ

শর্তগুলো কঠিন হলেও যৌক্তিক : আইএমএফের শর্ত মেনেই ঋণ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ব্যবসায়ীদের আপত্তি

পরের সংবাদ

চোররাও যোগ দিচ্ছে বিএনপির সমাবেশে, ফিরছে হাসিমুখে : ৭ মোবাইলসহ চক্রের ৪ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইমরান রহমান : আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে পর্যায়ক্রমে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এর মধ্যে বিএনপি আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি জনসমাবেশ ঘিরেও ছড়িয়েছে উত্তেজনা। বিএনপির গণসমাবেশের আগে সংশ্লিষ্ট জেলায় পরিবহন ধর্মঘট নিয়েও বিএনপির অভিযোগের অন্ত নেই। সবকিছু ছাপিয়ে নির্দিষ্ট তারিখের আগেই পায়ে হেঁটে, সাইকেলে, ট্রলারে কিংবা ভ্যানে করেও সমাবেশস্থলে হাজির হচ্ছেন বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী।
বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দিতে দলটির নেতাকর্মীদের চেয়ে পিছিয়ে নেই চোর চক্র। সমাবেশ শুরুর ২-৩ দিন আগে তারা পৌঁছে যাচ্ছে সেখানে। বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে করছে মিছিল মিটিং। পড়ছে বিভিন্ন নেতার দেয়া টিশার্ট ও ক্যাপ। এর মধ্যে তার আসল উদ্দেশ্য হাসিল করেও নিচ্ছে।
জনসমাবেশের দিন ভিড়ের মধ্যে হাতিয়ে নিচ্ছে মোবাইল ফোন। পরে ঢাকা এসে সেগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে চক্রের সদস্যদের কাছে। গতকাল রবিবার সকালে রাজধানীর সদরঘাট থেকে ৭টি মোবাইলসহ এমনই এক চক্রের ৩ সদস্যকে আটকের পর এ তথ্য জানতে পেরেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হারুন, আনিস ও এনামুল। তারা বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশ থেকে ফিরছিলেন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের প্রত্যেকের পরনে বিএনপির গণসমাবেশের টিশার্ট ও ক্যাপ ছিল। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোহেল নামে চক্রের আরো এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিবি বলছে, সোহেল চোর চক্রটির কাছ থেকে কম টাকায় চুরাই মোবাইল কিনে গুলিস্তানের পাতাল মার্কেট, বসুন্ধরা শপিংমল ও যমুনা ফিউচার পার্কে বিক্রি করতেন।
আটককৃতরা প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবিকে জানিয়েছে, তারা রাজধানীর ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকা কেন্দ্রিক চোর চক্রের সদস্য। বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশের খবর পেয়ে সমাবেশের দুদিন আগেই তারা সেখানে চলে যায়। বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে মিছিল মিটিং করে। পরে সমাবেশের দিন মিছিলের সময় মোবাইলগুলো চুরি করে রাতেই পারাবত লঞ্চে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। তারা সোহেলের মতো মোট ৪ জনের (চোরদের ভাষায় ডিলার) কাছে চোরাই মোবাইলগুলো বিক্রি করত। সোহেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, টার্গেট ছিল এই চক্রের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বেশ কয়েকটি ফোন কিনবেন। কিন্তু মাত্র ৭টি ফোন চুরি করতে পারায়, তিনি ২২ হাজার টাকায় সেগুলো কিনতে রাজি হন।
ডিবি বলছে, শুধু এই চক্রই নয়, আরো বেশ কয়েকটি চোর চক্র রাজনৈতিক গণসমাবেশ ঘিরে সক্রিয় রয়েছে। ইতোমধ্যে এমন চক্রের ৮-১০ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে ডিবির ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) এস এম রেজাউল হক ভোরের কাগজকে বলেন, বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে চোর চক্রটিকে অনুসরণ করে সদরঘাট থেকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সমাবেশ থেকে মোবাইল ফোন চুরির কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এ ধরনের কতগুলো চক্র সক্রিয় রয়েছে সেগুলোও আমরা খতিয়ে দেখছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়