বাংলা একাডেমির তিনটি পুরস্কার ঘোষণা

আগের সংবাদ

মহাসড়কে পদে পদে মরণফাঁদ :

পরের সংবাদ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় পিএসজি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে জায়গা পেয়েছে তিন ফুটবল জায়ান্ট পিএসজি, রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। গ্রুপ পর্বের শেষদিনের খেলায় জুভেন্টাসকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে পিএসজি। আরেক ম্যাচে ঘরের মাঠে সেল্টিককে ৫-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। অন্যদিকে স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়াকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
তুরিনের আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে কার্ডের নিষেধাজ্ঞায় ম্যাচে ছিলেন না নেইমার। তাতে পিএসজির আক্রমণে ঘাটতি তৈরি হলেও এমবাপ্পের নৈপুণ্যে শুরুতেই গোল পেয়ে যায় দলটি। ত্রয়োদশ মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে ওঠা আক্রমণে লিওনেল মেসির পাস ধরে ডান দিকে এগিয়ে যান এমবাপ্পে। তার জার্সি টেনে ধরলেও আটকাতে পারেননি ডিফেন্ডার ফেদেরিকো গাত্তি। আরেকজনের বাধা এড়িয়ে বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শট নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। পোস্টে লেগে বল খুঁজে নেয় ঠিকানা। আসরে ৬ ম্যাচের ৫টিতেই জালের দেখা পেয়েছেন তিনি। এটি তার সপ্তম গোল।
জুভেন্টাস সমানতালে আক্রমণ করলেও নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। পোলিশ ফরোয়ার্ড আর্কাদিউস মিলিক ও ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড মানুয়েল লোকাতেল্লি দুবার দূরপাল্লার শটে চেষ্টা চালান, তবে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। ২২তম মিনিটে একই রকম চেষ্টা করেন হুয়ান কুয়াদরাদো, তার শটও পোস্টের বাইরে যায়। একটু পর প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে জোরাল শট নেন এমবাপ্পে। ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে যায় বল। ৩৪তম মিনিটে বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে শট নিতে একটু দেরি করে ফেলেন আলেক্স সান্দ্রো। পরবর্তীতে তিনি শট নিলেও স্লাইড ট্যাকলে রুখে দেন ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস।
৩৯তম মিনিটে সাফল্যের দেখা পায় স্বাগতিকরা। সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে বক্সে ডাইভিং হেডে গোলমুখে বল বাড়ান কুয়াদরাদো, ঝাঁপিয়ে পড়েও আটকাতে পারেননি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা। স্লাইডে বিনা বাধায় জালে বল পাঠান বোনুচ্চি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে অনেকটা সময় কেটে যায় দুই দলের সাদামাটা ফুটবলে। ৬০তম মিনিটে মেসি ভালো একটা পাস বাড়ান এমবাপ্পেকে, কিন্তু গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল শট নেন তিনি। ৬৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নুনো মেন্দেস।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে জুভেন্টাসকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে পিএসজি। ষষ্ঠ মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। আসেনসিওর পাস ধরে দুরূহ কোণ থেকে রদ্রিগোর নেয়া শট জো হার্ট আটকানোর পর বক্সেই বল যায় ভালভেরদের কাছে। অনেকটা লাফিয়ে তার নেয়া ভলি জার্মান ডিফেন্ডার মরিৎস ইয়েন্সের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন মদ্রিচ। ১৯তম মিনিটে ভিনিসিয়াসের শট গোলরক্ষক ফেরানোর পর বক্সে বল পেয়ে যান রদ্রিগো। এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের শট ম্যাট ওরাইলির হাতে লাগলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। হার্টকে বিপরীত দিকে ছিটকে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন রদ্রিগো। একটু পরই ফাঁকায় বল পেয়ে উড়িয়ে মেরে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করেন ভিনিসিয়াস।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে ব্যবধান আরো বাড়িয়ে নেয় রিয়াল। দানি কারভাহালের বাইলাইনের একটু ওপর থেকে বাড়ানো কাটব্যাক নিখুঁত শটে জালে জড়ান আসেনসিও। এরপর ৬১ মিনিটে ভালভেরদের আড়াআড়ি ক্রস আটকাতে হার্ট হাত বাড়ালেও তার আগেই প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন গোলমুখে থাকা ভিনিসিয়াস।
এরপরই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে তুলে করিম বেনজেমাকে বদলি নামান আনচেলত্তি। কারভাহাল, মদ্রিচ ও ডেভিড আলাবার বদলি নামেন লুকাস ভাসকেস, দানি সেবাইয়োস ও নাচো। ৭১তম মিনিটে বক্সের ঠিক ওপর থেকে বুলেট গতির শটে গোলের খাতায় নাম তোলেন ভালভেরদে। বের্নাবেউয়ে একটি গোল পাওয়ার আশায় হাল না ছেড়ে মাঝেমধ্যে আক্রমণ করতে থাকে সেল্টিক। কিন্তু কোর্তোয়ার দেয়াল কোনোভাবেই ভাঙতে পারছিল না তারা। অবশেষে ৮৪তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোতার নেয়া ফ্রি কিকে পরাস্ত হন রিয়াল গোলরক্ষক।
অন্যদিকে আলভারেসের নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় ম্যাচে ছিলেন না সিটির তারকা স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড। গ্যালারিতে বসে দলের জয় উপভোগ করেন নরওয়ের এই তরুণ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে এই নিয়ে টানা ২৩ ম্যাচ অপরাজিত রইল প্রিমিয়ার লিগের গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ৩১ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ থেকে এগিয়ে যায় সেভিয়া। ইসকোর কর্নারে দূরের পোস্টে হেডে গোলটি করেন অরক্ষিত রাফা মির। উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্স কিংবা নটিংহ্যাম ফরেস্টের হয়ে খেলার সময়ে ইংল্যান্ডে কখনো গোল করতে পারেননি এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। সেভিয়ার হয়ে সেই আক্ষেপ ঘুচল তার। দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে সমতায় ফেরে সিটি। প্রতিপক্ষের আলগা বল পেয়ে আলভারেস পাস দেন বক্সে, আর দুরূহ কোণ থেকে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন লুইস। সিটির হয়ে ১৭ বছর বয়সী এই ইংলিশ ডিফেন্ডারের প্রথম গোল এটি।

৭০তম মিনিটে পালমারের বদলি নামার পরপরই নিজের প্রভাব রাখেন কেভিন ডি ব্রুইনে। নির্ধারিত সময়ের সাত মিনিট বাকি থাকতে দলের তৃতীয় গোলেও অবদান রাখেন তিনি। প্রতিপক্ষের একজন বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে আলভারেস পাস দেন মাহরেজকে। বাকিটা অনায়াসে সারেন আলজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ড। ৬ ম্যাচে চার জয় ও দুই ড্রয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে সিটি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়