বাংলা একাডেমির তিনটি পুরস্কার ঘোষণা

আগের সংবাদ

মহাসড়কে পদে পদে মরণফাঁদ :

পরের সংবাদ

চরফ্যাশনে ছাত্রদল-যুবদলের ২ নেতাকে কুপিয়ে জখম : হাত ভাঙা হলো স্বেচ্ছাসেবক দলনেতার

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভোলা প্রতিনিধি : পৃথক হামলায় চরফ্যাশন সরকারি কলেজের এক ছাত্রদল নেতা এবং যুবদলের সহসভাপতি আহত হয়েছেন। এছাড়া এক স্বেচ্ছাসেবক দলনেতাকে হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, গত বুধবার রাত ৯টায় চরফ্যাশন থানা রোড ব্রিজে চরফ্যাশন সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা ইয়াস মিয়াজির ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, কাজ শেষ করে যাওয়ার পথে তরিক, তুহিন ও সাকিবসহ ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী লোহার রড, কাঠ এবং লাঠিসোটা নিয়ে আমার ওপর হামলা চালিয়ে জখম করে। তারা স্থানীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এদিকে উপজেলার মাদ্রাজ ইউনিয়নের এক ওয়ার্ড যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের চর আফজাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ইদ্রিস (৪৫) চর আফজাল গ্রামের মৃত ওয়াজউদ্দিন মাঝির ছেলে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলার সময় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
ইদ্রিস মাঝির স্বজনরা জানান, গত মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা রাকিব মোল্লার সঙ্গে দলীয় বিষয় নিয়ে যুবদল নেতা ব্যবসায়ী বেল্লাল ও ইদ্রিস মাঝির কথা কাটাকাাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাকিব বেল্লাল ও ইদ্রিস মাঝিকে মারতে উদ্যত হলে এলাকাবাসী রাকিবকে নিবৃত্ত করেন। কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে উপজেলা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি মাদ্রাজ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুর রহমান সর্দারকে (রহমান মেম্বার) নিয়ে আসেন রাকিব। তিনি এসে বেল্লাল ও ইদ্রিস মাঝিকে হুমকি-ধমকি দিয়ে বুধবার থেকে দোকান খুলতে নিষেধ করেন। গত বুধবার সকালে তারা দোকান খুলে বেচাকেনা করছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতা আবদুর রহমান সর্দারের নেতৃত্বে তার ছেলে ফিরোজ ও সহযোগী রাকিব মোল্লাসহ ৮-১০ জন বেল্লাল ও ইদ্রিস মাঝির দোকানে হামলা চালিয়ে ইদ্রিস মাঝিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং তার দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
অপরদিকে একই ইউনিয়নে মো. ফিরোজ নামের এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে বরিশালের জনসমাবেশের পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত উপজেলা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি ও চরমাদ্রাজের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুর রহমান সর্দার বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য নিয়ে রাকিবের সঙ্গে বেল্লাল ও ইদ্রিস মাঝির কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাকিবকে দৌড়ে নিয়ে বাড়িতে উঠান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সকালে চরফ্যাশন থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসেছে। পরে কী হয়েছে আমার জানা নেই। চরফ্যাশন থানার ওসি মো. মোরাদ হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়