পাইলিংয়ের সময় শ্রমিক নিহত

আগের সংবাদ

প্রাথমিক শিক্ষায় তুঘলকি কাণ্ড : পাশাপাশি দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একটি করা হচ্ছে > শিক্ষক প্রশিক্ষণ ৬ মাস

পরের সংবাদ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে খানাখন্দে বাড়ছে দুর্ঘটনা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ১৩ কিলোমিটার অংশজুড়ে খানাখন্দ ও উঁচু-নিচু ঢেউয়ের মতো হওয়ার কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা। প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কের খানাখন্দ প্রায়ই সংস্কার করা হলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এতে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
সরজমিন দেখা গেছে, বাউশিয়া, ভবেরচর, ভাটেরচর, বালুয়াকান্দি ও তেতৈতলা এলাকায় সড়কে বড় বড় গর্ত ও উঁচু-নিচু ঢেউয়ের মতো সৃষ্টি হয়েছে। দূরপাল্লা পরিবহনগুলো একেবারে ধীরগতিতে চলছে। কিছুদিন পর পর এসব উঁচু-নিচু ঢেউ মেশিন দিয়ে কেটে সমান করে দিলেও মাসখানেক না যেতে না যেতেই একই রূপ ধারণ করে। অনেক সময় গাড়ি উল্টে পাশের খাদে পড়ে যায়। মহাসড়কে নিয়মিত চলাচলকারী হাইওয়ে মিনিবাস পরিবহনের চালক বিল্লাল হোসেন জানান, বাউশিয়া পাখির মোড় থেকে জামালদী মেঘনা সেতু পর্যন্ত বিভিন্ন অংশ এখনো খারাপ অবস্থাতেই রয়েছে। যদিও ওই অংশটি খুঁড়ে পাথর ও বালুর মিশ্রণ ফেলা হয়েছে। কিন্তু এর ওপর এখনো কার্পেটিং করা হয়নি। ফলে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
পণ্য বহনকারী কয়েকজন ট্রাকচালক জানান, বৃষ্টির সময় ভারী যানবাহন নিয়ে খুব সাবধানে চলতে হয়। যে কোনো সময় গাড়ি উল্টে যাওয়ার ভয় থাকে। স্থানীয়দের ভাষ্য, এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলে। এ সড়কে চালকরা ক্লান্ত হয়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। অনেক সময় গজারিয়া আসার পর গাড়ির স্টিয়ারিং থাকে চালকের সহকারীর হাতে। ফলে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে। কখনো মার্কেটে বা বিপরীতমুখী যানবাহনকে ধাক্কা দেয়। পরিবহন মালিক সমিতির গজারিয়া শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, গাড়িগুলো সাবধানে চলাচল করলেও টাল খেয়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকেই যায়। নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনাজ ফেরদৌস বলেন, গাড়ি যদি সব সময় একই লেনে চলতে থাকে বা ওভার লোডের গাড়ি থাকে তখন এ ধরনের উঁচু-নিচু ঢেউ হতে পারে। এছাড়া আরো অনেক কারণেও তা হতে পারে। তিনি বলেন, বৃষ্টি একেবারে কমে গেলে তখন আমরা এক্সকেভেটর দিয়ে সড়কটি দ্রুত মেরামত করব। তবে অতিরিক্ত ভারী মালামালের বিষয়ে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়