এএফসি কাপ অনূর্ধ্ব-১৭ বাছাই : ভুটানকে হারাল বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

তিস্তা পাড়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের আকস্মিক সফর : তিন দেশে আলোচনায় নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

আধুনিক স্থাপত্যের জন্য বিস্ময়

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাজমুল হক ইমন

ফরাসি শব্দ সিয়েলের অর্থ আকাশ। নামটাই যেন মানুষকে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে বিভোর করে তোলে। মনে করিয়ে দেয়, মানুষের জীবনে কেবল আকাশটাই সীমানা। সামনের দিনগুলোতে দুবাইয়ের অন্যতম আকর্ষণ হতে যাচ্ছে এই সিয়েল টাওয়ার। এর অবস্থান একদম শহরের প্রাণকেন্দ্রে। জানা যায়, দুবাইয়ের জিফুরা হোটেল ২০১৮ সালে পৃথিবীর উচ্চতম হোটেল হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছিল। কিন্তু সেই জিফুরাকে হটিয়ে বিশ্বের উচ্চতম হোটেল হতে যাওয়া এই সিয়েল টাওয়ারের উচ্চতা ১ হাজার ২০০ ফুট। মাত্র ২ হাজার ৫০০ বর্গমিটার জমিতে তৈরি হচ্ছে এই হোটেল। যার উপরের অংশে উলম্বভাবে দুটি টাওয়ার উঠে গেছে, যা দেখতে মাঝ আকাশে ঝুলে থাকা দরজা মনে হয়। এ টাওয়ারের ৮২টির বেশি তলায় থাকছে সহস্রাধিক কক্ষ, যার মধ্যে ১৫০টি বিলাসবহুল স্যুট। এর আভ্যন্তরীণ সাজসজ্জায় জাপানি ট্র্যাডিশন ওয়াবি-সাবি থেকে অনুপ্রাণিত। যা কমনীয়তা ও নন্দনতত্ত্বকে গুরুত্ব দেয়। চলতি বছরের শেষদিকে কিংবা ২০২৩ সালের শুরুর দিকে অতিথিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে প্রতীক্ষিত সিয়েল টাওয়ার।

প্রচলিত হোটেল ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সিয়েলকে সাজানো হচ্ছে সর্বশেষ পরিকল্পনা অনুসারে। বিশ্বমানের রেস্টুরেন্ট. বিলাসবহুল জিমনেশিয়াম, হেলথ সেন্টার বা সুইমিং পুল কী নেই। অবকাশ যাপনের নানান উপকরণে সাজানো থাকবে ছাদ। সেখানে থাকছে দুটি ডাইনিং সুবিধা। দেখা যাবে গোটা শহরের ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ আর অবারিত খোলা আকাশ। উপভোগ করা যাবে উপকূল এবং পাম জুমেইরাহ দ্বীপপুঞ্জের সৌন্দর্য।
গোটা পরিকল্পনায় ব্যাপক গুরুত্ব পাচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়। কাঁচ ও ধাতুর ব্যবহারের কারণে সূর্যের আলোর সর্বোত্তম ব্যবহার করা যাবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সাধারণ ভবনের চাইতে ২৫ শতাংশ কম বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হবে সিয়েল টাওয়ারে। যেখানে ব্যবহৃত হচ্ছে ১২ হাজার ঘনমিটার কংক্রিট ও ৩ হাজার টন ইস্পাত।
উল্লেখ্য, দুবাইয়ের মারিনায় ২০১৮ সালে শুরু হয় সিয়েল টাওয়ারের নির্মাণ। শুরু থেকেই সবার নজরে আছে উচ্চাভিলাষী প্রজেক্টটি। ডেভেলপার হিসেবে পরের বছরই তিনটি পুরস্কার নিজেদের ঝুলিতে তুলেছে দ্য ফার্স্ট গ্রুপ। শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক হোটেল স্থাপত্য, শ্রেষ্ঠ আরব হোটেল স্থাপত্য এবং শ্রেষ্ঠ আকাশছোঁয়া আরব স্থাপত্য পুরস্কার। এখানেই শেষ নাই, পরে যোগ হয় ইন্টারন্যাশনাল প্রোপার্টি অ্যাওয়ার্ড।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়