হাজারীবাগের বিস্ফোরণ : পা হারানো দিলীপসহ শঙ্কাজনক অবস্থায় ২

আগের সংবাদ

পাঁচ কারণে বাড়ছে ডেঙ্গু!

পরের সংবাদ

বোয়ালমারীতে নৌকাবাইচ ও মেলা ঘিরে চাঁদাবাজি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) থেকে : বোয়ালমারীতে এক ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ ও গ্রামীণ মেলাকে কেন্দ্র করে আয়োজকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেলায় আগত দোকানদের কাছ থেকে জোর করে রসিদের মাধ্যমে এ অর্থ আদায় করা হয়েছে।
জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ি গ্রাম সংলগ্ন কুমার নদে প্রতি বছর ২৬ সেপ্টেম্বর নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। নৌকাবাইচকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের মতো এবারো তেলজুড়ি বাজারে গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন পণ্যের পসরা নিয়ে ছোট বড় তিন শতাধিক দোকানদারা এসেছেন। প্রতিবছর দোকানদারেরা জায়গার মালিককে অস্থায়ী দোকান বসানো বাবদ অল্প কিছু টাকা দিতেন। কিন্তু এবার আয়োজকরা জায়গার মালিককে টাকা তুলতে দেননি। অভিযোগ উঠেছে, আয়োজকরা দোকানদারদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দোকান মালিক জানান, প্রতিবছরই তারা নৌকাবাইচ ও গ্রামীণ মেলা উপলক্ষে তেলজুড়ি বাজারে দোকান বসান। গত বছর তারা জায়গার মালিককে যে টাকা দিয়েছিলেন এ বছর আয়োজকরা তার দ্বিগুণ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারও বেশি টাকা তুলেছেন। দোকানদারদের অনেকেই শংকা প্রকাশ করে জানান, তাদের নাম পত্রিকায় ছাপা হলে আয়োজকরা আগামীতে তাদের দোকান দিতে বাধা দিতে পারেন।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ‘তেলজুড়ি ঐতিহ্যবাহী বার্ষিক নৌকাবাইচ মেলা-২০২২ চাঁদা আদায়ের রসিদ’ শিরোনামে আয়োজকেরা চাঁদা আদায় করেছেন। আদায়কারীর স্বাক্ষর ছাড়া রসিদের মাধ্যমে এ চাঁদা আদায় করা হয়েছে। জহির নামের এক দোকানদারের কাছ থেকে ১১শ টাকা আদায় করা হয়েছে। তিনি বলেন, এবার বিক্রি ভালো হয়নি। তাও আমাকে ১১শ টাকা দিতে হয়েছে। ‘মামা-ভাগ্নে চানাচুর’ নামের একটি চানাচুরের দোকানের মালিক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর তেলজুড়িতে মেলা উপলক্ষে যে জায়গায় দোকান দিতাম সেই জায়গার মালিককে কিছু টাকা দিতাম। কিন্তু এবার আয়োজকরা জায়গার মালিককে টাকা দিতে নিষেধ করায় আয়োজকদের দিয়েছি।
মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম মুকুল বলেন, মেলা পরিচালনা করতে বড় অঙ্কের একটা টাকা খরচ হয়। আয়োজক কমিটি প্রতি বছরই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিছু টাকা তোলে। পাশাপাশি জায়গার মালিকরা আলাদাভাবে জায়গার ভাড়া নেন। শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এবার মেলা কমিটি রসিদের মাধ্যমে টাকা নিয়ে জায়গার মালিকদের অর্ধেক এবং মেলা কমিটি অর্ধেক টাকা নেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। তবে তিনি টাকা তোলার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার নিজের পকেট থেকে ষাট হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
নৌকাবাইচ ও মেলা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. আজিজুল আকিল ডেভিড সিকদার। রসিদের মাধ্যমে চাঁদা আদায়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। বোয়ালমারী থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগও দেয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়