হাজারীবাগের বিস্ফোরণ : পা হারানো দিলীপসহ শঙ্কাজনক অবস্থায় ২

আগের সংবাদ

পাঁচ কারণে বাড়ছে ডেঙ্গু!

পরের সংবাদ

বিদেশ পালানোর আগে ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া এলাকায় ব্যবসায়িক দ্ব›েদ্ব বন্ধুকে খুন করে ১০ বছর জেল খাটেন শাহিন আলম। এরপর জামিনে বেরিয়ে জানতে পারেন মৃত্যুদণ্ডের রায়ের কথা। এই রায় শোনার পরই বিদেশে পালানোর পরিকল্পনা করেন শাহিন। বিদেশ যাওয়ার আগে শেষবারের মতো পরিবারের সঙ্গে দেখাও করতে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গত সোমবার রাতে মানিকগঞ্জের ঘিওর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক ডিআইজি মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।
মোজাম্মেল হক বলেন, ২০০৬ সালের ২১ মে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানা পুলিশ বেতুলিয়া ব্রিজের ঢাল থেকে মাথাবিহীন একটি লাশ উদ্ধার করে। একদিন পর ২৩ মে কাছের এলাকা টাঙ্গাইলের নাগরপুরের জগতলা এলাকার খালের পাশ থেকে দেহবিহীন মাথা উদ্ধার করা হয়। ওই লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সাটুরিয়া থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করা হয়। ওইদিনই নিখোঁজ ভাইয়ের জন্য ধামরাই থানায় জিডি করতে যান সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। সেখানে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি ওই লাশকে নিখোঁজ ভাই শহিদুল ইসলাম বলে শনাক্ত করেন।
পরে তদন্তে উঠে আসে, ঘনিষ্ঠ বন্ধু শহিদুল ইসলাম ও শাহিন আলম গার্মেন্টের চাকরি ছেড়ে ২০০৪ সালে ধামরাইয়ের গোয়াড়ীপাড়ায় ‘বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে ক্ষুদ্র ঋণদানকারী সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। একপর্যায়ে পুরো ব্যবসা নিজের করে নিতে শহিদুলকে হত্যার ছক আঁটেন শাহিন। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০০৬ সালের ২০ মে রাতে শহিদুলকে মাইক্রোবাসে তুলে গাড়ির মধ্যেই হত্যা করে মাথা ছিন্ন করা হয়।
এরপর বিচ্ছিন্ন দেহ পলিথিনে নাগরপুরে নিয়ে ফেলে দেয়া হয়। এ মামলায় গত ১ ডিসেম্বর শাহিন আলমকে মৃত্যুদণ্ড ও তার মামাত ভাই রাজা মিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এছাড়া সাহেদ, রাজা মিয়া, আব্দুল কুদ্দুস ও বিষ্ণু সুইপার নামের আরো চারজন যাবজ্জীবনে দণ্ডিত হয়।
ঘটনার পর শাহিন, সাহেদ ও বিষ্ণু সুইপারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পরলেও অন্যরা আত্মগোপনে চলে যায় জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা মোজাম্মেল বলেন, প্রায় ১০ বছর কারাভোগের পর শাহিন জামিনে বের হয়ে আদালতে হাজিরা না দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ফেরিওয়ালাসহ নানা পেশার ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে ছিল। এ মামলায় দণ্ডিত রাজা মিয়া ও কুদ্দুসকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়