হাজারীবাগের বিস্ফোরণ : পা হারানো দিলীপসহ শঙ্কাজনক অবস্থায় ২

আগের সংবাদ

পাঁচ কারণে বাড়ছে ডেঙ্গু!

পরের সংবাদ

জেলা পরিষদ নির্বাচন : নোয়াখালীতে পিন্টুর পক্ষে একাট্টা জনপ্রতিনিধিরা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ সোহেল, নোয়াখালী : নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর চশমা প্রতীকের সঙ্গে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাবক্স তাহের টিটু। নির্বাচনের মাঠে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী থাকলেও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একাট্টা হয়ে কাজ করায় অনেকটা স্বাভাবিকভাবেই প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু। সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পর দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি পিন্টুর চশমা প্রতীকের পক্ষে সমর্থন জুগিয়েছেন জেলার ৮টি পৌরসভা, ৯টি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরাও।
এদিকে, ঋণ খেলাপির দায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাবক্স তাহের টিটুর মননোয়নপত্র বাতিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন তিনি। গত রবিবার টিটুর মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং অফিসার ও আপিলেট অথরিটির দেয়া আদেশ কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না সেই মর্মে বিবাদীর প্রতি রুল নিশি জারি করা হয়। একই সঙ্গে ১৮ ও ২২ সেপ্টেম্বর তার মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশ স্থগিত করে নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারকে রিট পিটিশনকারীর মনোনয়পত্র গ্রহণ করে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশনা দেয়া হয়। পরে টিটুকে আনারস প্রতীক বরাদ্দ দেয় নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।
জেলা সদরের কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যা সেলিম বলেন, আমাদের জেলায় প্রায় ৯৫ শতাংশ জনপ্রতিনিধি আওয়ামী লীগের। জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হলো আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু। তাই জেলার সার্বিক উন্নয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পিন্টুর বাইরে অন্য কাউকে চিন্তা করতে পারি না। এই নির্বাচনে পিন্টুর পক্ষে যেভাবে একাট্টা হয়ে জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মীরা কাজ করছেন তাতে সর্বাধিক ভোটে চশমা প্রতীকের জয় সুনিশ্চিত বলেও জানান তিনি। নোয়াখালী পৌরসভার কাউন্সিলর জাহিদুর রহমান শামীম বলেন, দলের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতা আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টুকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে দলীয় হাইকমান্ড মূল্যায়ন করেছেন। আমরাও দলের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দলীয় হাইকমান্ডকে নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি উপহার দেব।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাবক্স তাহের টিটু বলেন, নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতেই আমি প্রার্থী হয়েছি। কেউ খালি মাঠে গোল দেবে, সেটি আমি চাই না। আমার প্রার্থীতার মধ্য দিয়ে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমাকে এই নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে মূল্যায়ন করায় আমি প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা ও নোয়াখালীর গর্ব প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদের এমপির প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি যেখানেই যাচ্ছি দলের প্রার্থী হিসেবে দলীয় নেতাকর্মী এবং ভোটারদের কাছে সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি সবার সার্বিক চেষ্টায় নোয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরকে উপহার দিতে পারব।
পিন্টু বলেন, আল্লাহর রহমতে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলার ৬টি আসনের সংসদ সদস্যরা ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রথম শ্রেণির জেলা নোয়াখালীকে আরো আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়