হাজারীবাগের বিস্ফোরণ : পা হারানো দিলীপসহ শঙ্কাজনক অবস্থায় ২

আগের সংবাদ

পাঁচ কারণে বাড়ছে ডেঙ্গু!

পরের সংবাদ

আদায় করা হচ্ছে পাঁচগুণ ভাড়া : খেয়া পরাপারে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শংকর দত্ত, ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে : ছাতকে সুরমা নদীর উপর খেয়াঘাটের ইজারদার কর্তৃক নিয়োগকৃত সাব ইজারাদারের দৌরাত্ম্য যেনো থামছেই না। দীর্ঘদিন ধরে ইজারার শর্ত ভেঙে যাত্রীদের জিম্মি করে ক্ষেত্রবিশেষে ৩ থেকে ৫ গুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পারাপারও করা হচ্ছে নিয়মিত।
জানা যায়, বৃহত্তর সিলেটের অন্যতম খেয়াঘাট ছাতক শহরের পশ্চিম বাজার (নোয়ারাই) পাবলিক খেয়াঘাট। প্রতিদিন উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের পারাপার সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের আওতাধীন এ খেয়াঘাট দিয়ে। খেয়া পারাপারের মূল্য তালিকা সম্বলিত বড় সাইনবোর্ড ঝুলানোর শর্তসহ ঘাটের রক্ষণাবেক্ষণ ও ঘাট অন্য কারো কাছে সাবলিজ না দেয়ার শর্তে ইজারা দেয়া হলেও এর একটিও মানছেন না ইজারাদার। শুরু থেকেই সাব-লিজ দিয়ে যাত্রীদের হয়রানি, স্বেচ্ছাচারিতাসহ ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। ভাড়া নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে টাকা দিতে বাধ্য করে সাব ইজারদারের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন। এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ঘাটে যাত্রীদের অপদস্থ করার মতো ঘটনা ঘটছে। সরজমিনে দেখা যায়, নৌকায় যাত্রীপ্রতি ৪ টাকা ভাড়া আদায়ের নিয়ম থাকলেও আদায় করা হচ্ছে ১০-২০ টাকা। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত যাত্রীদের অনেকটা জিম্মি করে ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পারাপারও করা হচ্ছে নিয়মিত। গরু, ছাগল ও অন্যান্য মালামাল পারাপারেও অত্যধিক ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। সবমিলিয়ে যাত্রী হয়রানির অন্ত নেই। আসন্ন দুর্গোৎসবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছ থেকেও অধিক ভাড়া আদায় ও হয়রানী করার আশঙ্কা করছেন অনেকে। এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলার নির্বাহী অফিসার নুরে জামান চৌধুরী বলেন, জেলা পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নোয়ারাই গ্রামের জসিম উদ্দিন জানান, আমি ক্ষুদ্র ব্যাবসা করি প্রতিদিন মালামাল এপার থেকে ওপারে আনা নেয়া করতে হয়। মানুষের ভাড়া ১০ টাকা আর সঙ্গে পণ্য কিছু থাকলে তার ভাড়া দ্বিগুণ গুণতে হয়। আমরা এর প্রতিকার চাই। স্কুল ছাত্রছাত্রীরা জানান, আমরা ভাড়া কম দিলে আমাদের সঙ্গে নৌকার লোকজন খারাপ আচরণ করেন। এ ব্যাপারে শিব নাথ জানান, প্রতিদিন তারা নানাভাবে মানুষকে হয়রানি করছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা জনপ্রতিনিধির এসব দেখেও দেখেন না। আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাব। এদিকে আসন্ন দুর্গাপূর্জার আগে ভাড়ার তালিকা নির্ধারণ না করলে তারা দূরদূরান্তে মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে আমাদের ছাতকের জন্য লজ্জাজনক পরিস্থিতি হবে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়