সহিংসতা প্রতিরোধে মাঠে থাকবে ১৪ দল

আগের সংবাদ

পঞ্চগড়ে নৌকা ডুবে নিহত ২৫, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক : করতোয়া তীরে শোকের মাতম

পরের সংবাদ

২৯-৩১ অক্টোবর আসামে শিলচর-সিলেট উৎসব : উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে খুলছে নতুন দুয়ার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য : সিলেট-শিলচর উৎসবের মধ্য দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন দুয়ার খুলতে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই লাভবান হবে। আগামী অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে আসামের শিলচরে অনুষ্ঠিতব্য এই উৎসবে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের একাধিক মন্ত্রী ছাড়াও আসাম, মনিপুর এবং মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। থাকবেন সংসদ সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। গতকাল শনিবার শিলচরে এক সংবাদ সম্মেলনে সেখানকার সংসদ সদস্য ডা. রাজদীপ রায় এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, এই উৎসবের ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সংযোগ আরো বাড়বে। গতি আসবে ব্যবসা ও বিনিয়োগে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লি সফরে গিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান। এসব মুখ্যমন্ত্রীরা ঢাকা সফর না করলেও সিলেট-শিলচর উৎসবে অন্তত সেখানকার তিনজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীদের সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি সম্পর্কের নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হবে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের মধ্যে রয়েছে, আসাম, মেঘালয়, মনিপুর, ত্রিপুরা, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশ। এর মধ্যে আসাম, মেঘালয়ের সঙ্গে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের বড় সীমান্ত রয়েছে। ১৯৪৭ সালের আগে আসাম ও সিলেট একসঙ্গেই ছিল। দেশভাগের পরে তারা আলাদা হয়ে যায়। বর্তমানে ঢাকা ও দিল্লি চাইছে, আসাম ও সিলেটের মধ্যে নতুন করে সংযোগ বাড়ানোসহ ব্যবসা ও বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে।
গতকাল শনিবার রাতে ডা. রাজদীপ রায় ভোরের কাগজকে বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথিকৃৎ শিলচরে অক্টোবরের শেষ তিন দিন অর্থাৎ ২৯ থেকে ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে শিলচর-সিলেট ফেস্টিভ্যাল। ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ আয়োজিত তিন দিনের এ উৎসবে আসাম সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকছে। সহযোগিতায় রয়েছে ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে ছয়জন মন্ত্রী, বারোজন এমপি, শিক্ষাবিদ ও শিল্পদ্যোগীরা আসছেন শিলচরে। আশা করা হচ্ছে, এই উৎসবে সৃষ্টি হবে সৌহার্দের এক নতুন অধ্যায়। অন্যদিকে ভারতের তরফ থেকে দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিসহ আসাম, মনিপুর ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীরা থাকবেন এই উৎসবে। আসামের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের যে নতুন দুয়ার খুলছে এটি তার প্রথম পদক্ষেপ বলেও জানালেন ডা. রাজদীপ রায়। প্রসঙ্গত, আসামের শিলচর শহরের সঙ্গে বাংলাদেশের সিলেট শহরের সড়ক সীমান্ত মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনে আয়োজন করা হচ্ছে এই মৈত্রী উৎসব। একদিকে যেমন দুই অঞ্চলের আদিবাসী সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে, অন্যদিকে তেমনি আলোচনাচক্রে অংশ নেবেন দুই দেশের বিশিষ্টজনরা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটন ও ডিজিটাল পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার দিক খতিয়ে দেখা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়