এসপি হলেন পুলিশের ৪৭ কর্মকর্তা

আগের সংবাদ

সাশ্রয়ের নামে নিম্নমানের বই! : ছাপানো শুরু হয়নি, বছরের প্রথমদিন সব শিক্ষার্থীর বই পাওয়া অনিশ্চিত

পরের সংবাদ

শ্রীপুরে প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগ : মাদ্রাসা পরিচালক কারাগারে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : শ্রীপুরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগে মাদ্রাসার পরিচালক এমদাদুল হককে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার তাকে আদালতে পাঠালে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ছাতির বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এমদাদুল হক ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার মোজাখালী গ্রামের আব্দুছ ছিদ্দিকের ছেলে এবং উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ছাতির বাজার এলাকার দারুল কোরআন মাদ্রাসার পরিচালক।
থানায় দায়ের করা লিখিত এজাহার (অভিযোগ) থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগীর মা শ্রীপুরে ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে এবং বাবা গ্রামে ঘুরে ঘুরে ফেরি করে মালামাল বিক্রি করে। চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুদের সঙ্গে মেশার সুযোগ করতে গত ঈদুল ফিতরের পর স্থানীয় দারুল উলুম মহিলা মাদরাসায় ভিকিটমকে ভর্তি করেন। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভিকটিম অন্য শিশুদের সঙ্গে মাদ্রাসায় থাকত। ভিকটিমের পরিবারকে গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় মাদ্রাসার এক শিক্ষিকা মোবাইলে ফোন করে অসুস্থ থাকার কথা জানান। ওইদিন রাত ৮টায় মাদ্রাসায় গেলে মেয়েকে রক্তক্ষরণরত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকজন। পরদিন ২২ আগস্ট তাকে নিয়ে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হয়। সেখান অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহের কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসাপাতালের চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, কিশোরী অন্তঃস্বত্বা ছিল। তাকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করা হয়েছে। সেখান থেকে কিশোরীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে।
ভিকটিমের বাবা জানান, তার মেয়ে কথা বলতে পারে না। মেয়ের কাছে জানতে চাইলে সে ইশারায় অভিযুক্ত মাদ্রাসার পরিচালক এমদাদকে শনাক্ত করে এবং তাকে ধর্ষণ করেছে বলে দেখায়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর তেলিহাটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলামের নিকট বিচার দাবি করেন তিনি। ইউপি সদস্য শফিকুল বিষয়টি সমাধানে না গিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবাকে তিনি থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। পরে সোমবার ভুক্তভোগীর বাবা শ্রীপুর থানায় এমদাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতে পাঠালে বিচারকের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়