এসপি হলেন পুলিশের ৪৭ কর্মকর্তা

আগের সংবাদ

সাশ্রয়ের নামে নিম্নমানের বই! : ছাপানো শুরু হয়নি, বছরের প্রথমদিন সব শিক্ষার্থীর বই পাওয়া অনিশ্চিত

পরের সংবাদ

কম্বোডিয়াকে হারলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ফিফা প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন রাকিব হোসেন। এ জয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সাত ম্যাচ আর ১০ মাস পর জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে সবশেষ গত বছরের নভেম্বরে তারা শ্রীলঙ্কার প্রাইম মিনিস্টার মাহিন্দা রাজাপাকসা ট্রফিতে মালদ্বীপের বিপক্ষে জিতেছিল ২-১ গোলে। এরপর সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই তারা হেরেছিল, ড্র হয়েছিল বাকি দুটি।
বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার অধীনে এটিই প্রথম জয়। গত জানুয়ারিতে তিনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে তার অধীনে বাংলাদেশ ছয়টি ম্যাচ খেললেও জিততে পারেনি কোনোটিতে। দুটি হয়েছে ড্র। অবশেষে সপ্তম ম্যাচে এসে জয় পেয়েছেন এই তরুণ স্প্যানিশ কোচ। আগামী ডিসেম্বরে তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। জয়হীন থাকায় তার ওপর বাড়তি চাপ ছিল। গতকালের জয়ে সে চাপ খানিকটা মুক্ত হয়েছেন তিনি।
নমপেনের মরোডোক টোকে জাতীয় স্টেডিয়ামে আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে শুরু থেকেই জমে ওঠে ম্যাচ। দুই দলই লড়াই করছে সমান তালে। ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ খেলার নিয়ন্ত্রণে ছিল। স্বাগতিক দলটিও মাঝে মধ্যে আক্রমণ রচনা করেছে। তবে সেই আক্রমণগুলো খুব বেশি ভীতির সঞ্চয় করতে পারেনি বাংলাদেশের রক্ষণে। কম্বোডিয়া বাংলাদেশের জাল লক্ষ্য করে ১০টি শট নিয়েছে।
আর বাংলাদেশ নিতে পারে ৭টি। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ম্যাচে জামালদের পায়ে বল ছিল ৫৬ শতাংশ সময়।
ম্যাচে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য প্রথম সুযোগটি তৈরি করে ত্রয়োদশ মিনিটে। বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রো-ইনে জামাল ভূঁইয়া পা ছোয়ালে তা পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ২৩তম মিনিটে রাকিবের গোলে এগিয়ে যায় জামাল বাহিনী। একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণে মতিন মিয়া ডান প্রান্তে রাকিব হোসেনের দিকে বল বাড়ান।
রাকিব হোসেন বলের নিয়ন্ত্রণ দারুণভাবে নিয়ে আড়াআড়ি শট করেন। কম্বোডিয়ার গোলরক্ষক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও গোল আটকাতে পারেননি। রাকিবের গোলের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ডাগআউট উল্লাসে মেতে ওঠে। কম্বোডিয়ার নমপেনে অবস্থিত বাংলাদেশিরাও গ্যালারিতে উল্লাস করেছেন। লিড নেয়ার তিন মিনিট পর হলদু কার্ড দেখেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। তিনি একটি দারুণ সেভে গোল খাওয়া থেকে বাঁচান বাংলাদেশকে। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে কোনো দল গোল করতে পারেনি। গোল শোধের অনেক চেষ্টাই করেছে কম্বোডিয়া। কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণ ও গোলকিপার আনিসুর রহমান ছিলেন সতর্ক। অন্যদিকে দ্বিতীয় গোলের খোঁজে আক্রমণে যায় বাংলাদেশও। ৭৬ মিনিটে বাংলাদেশ দ্বিতীয় গোলটি পেয়েও যেতে পারত। মতিন মিয়ার দুর্দান্ত শট ফিরে এসেছে ক্রসবারে লেগে। শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।

এ জয়ে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে পাঁচবারের সাক্ষাতে ৪ জয় ও ১ ড্র করেছে বাংলাদেশ। দেশটির বিপক্ষে ৫ ম্যাচে ৬ গোল করেছে বাংলাদেশ, খেয়েছে দুটি। ২০০৬ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল দল দুটি। সে ম্যাচে ২-১ গোলের ব্যবধানে জিতেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। ২০১৯ সালের ৯ মার্চ কম্বোডিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচও হয়েছিল কম্বোডিয়ার মাঠে। রবিউল হাসানের একমাত্র গোলে বাংলাদেশ জিতে ফিরেছিল। তবে র‌্যাঙ্কিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে কম্বোডিয়া। তাদের অবস্থান ১৭৪তম। আর বাংলাদেশ ১৯২। আগামী মঙ্গলবার দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। কম্বোডিয়া থেকে সরাসরি নেপাল যাবে তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়