কাগজ প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া : দৌলতপুর থানার একটি হত্যা মামলায় ২ জন দৈহিক প্রতিবন্ধীসহ আপন ৫ সহোদরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক তাজুল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। রায়ে প্রত্যেকের পৃথকভাবে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর সাজার আদেশ দেন আদালত।
সাজা প্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সালিমপুর তারাগুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত: বকস মণ্ডলের ছেলে দৈহিক প্রতিবন্ধী জানবার আলী (৬৬) ও গোলাম মোস্তফা (৬১), আব্দুল মান্নান (৫৬), আলাউদ্দিন (৫৩) এবং আব্দুল হান্নান (৫০)।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ মার্চ রাতে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধে উপজেলার সালিমপুর মাঠের জমি থেকে প্রতিপক্ষের লোকেরা গম কেটে নেয়ার সংবাদ পেয়ে জমির মালিক ওয়াজেদ আলী তার ছেলেদের সঙ্গে করে জমিতে যান। এ সময় তাদের গম কাটতে নিষেধ করায় আসামিরা জমির মালিক ওয়াজেদ আলীকে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম করলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১১-১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা করেন দৌলতপুর থানায়। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি তারিখে ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তের কর্মকর্তা।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, দৌলতপুর থানার জমিজমাসংক্রান্ত দ্ব›েদ্বর জেরে পূর্ব থেকেই বিবদমান দ্ব›েদ্ব প্রতিপক্ষের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ওয়াজেদ আলীকে হত্যার দায়ে ৮ আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় দৌলতপুর আপন ৫ সহোদরদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানার টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরো এক বছর সাজা খাটতে হবে তাদের।